গত বিধানসভা ভোটের আগে বামফ্রন্টের উদ্যোগে যে সংযুক্ত মোর্চা তৈরির ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছিল তার পর শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিআইএম। এর পরই প্রশ্ন উঠেছিল লক্ষ লক্ষ সমর্থক জুটিয়ে বিশাল ব্রিগেড সমাবেশ কি আদৌ কোনও লাভ দিচ্ছে? সাম্প্রতিক ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিশাল জমায়েত করেও ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাম মহলেই প্রশ্ন উঠেছে সমর্থকদের ভিড় হলেও ‘ভোটগুলো যায় কোন চুলোয়’। এরকমই দ্বন্দ্ব নিয়ে ফের ব্রিগেড ময়দানে জনসভা করতে চলেছে সিপিআইএম।
সিপিআইএম রাজ্য কমিটি সূত্রে খবর এবার ব্রিগেড সমাবেশের দায়িত্বে দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। বাম ছাত্র-যুব সংগঠন সমাবেশ করার প্রধান ভূমিকা নেবে। ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিল সিপিআইএম। আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাস রাজ্য জুড়ে বাম ছাত্র সংগঠন SFI ও যুব সংগঠন DYFI টানা প্রচার চালাবে। তারপর হবে ব্রিগেড সমাবেশ। তাৎপর্যপূর্ণ, এবারের সমাবেশে সিপিআইএম তাদের শ্রমিক শাখা সিটু ও কৃষক শাখা কৃষকসভার উপর ভরসা করে নয় বরং ছাত্র ও যুব শাখার উপর ভরসা করেছে।
ব্রিগেড সমাবেশ কবে হবে তা স্পষ্ট করেনি সিপিআইএম। তেমনই স্পষ্ট হয়নি এটি সিপিআইএমের একক সমাবেশ নাকি বামফ্রন্টকে বাকি শরিক দলগুলিও থাকবে কিনা। কংগ্রেস, আইএসএফ থাকবে কিনা তাও জানানো হয়নি। বঙ্গ রাজনীতিতে টানা এক যুগের বেশি সরকারে নেই সিপিআইএম। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিধানসভায় শূন্য হলেও এক ডাকে ব্রিগেডে কমপক্ষে ৫ লক্ষ জমায়েত করার ক্ষমতা রাখে সিপিআইএম। কারণ, বাম সমর্থকদের কাছে ব্রিগেড সমাবেশ একটি আবেগ। সেই আবেগ টানে তারা আসেন।