Koustav Bagchi: ন্যাড়া হয়ে কৌস্তভের প্রতিজ্ঞা, মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবই

মাথা কামিয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম, স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে ছাড়ব। জামিন পেয়ে হুঙ্কার কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi)।

Koustav Bagchi

মাথা কামিয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম, স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে ছাড়ব। জামিন পেয়ে হুঙ্কার কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi)। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে জামিন পান তিনি। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়েই কৌস্তভের হুঙ্কার, মাথা কামিয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম, স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে ছাড়ব। যতদিন না সরকারকে উৎখাত করব, ততদিন মাথার চুল গজাবো না। কথা দিয়ে গেলাম।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য থেকেই বিতর্কের সুচনা। দীর্ঘ সময়ে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের দিনেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্যাা, খুন নিয়ে যদি আমি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘দুটো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছি। দীপক ঘোষ (মমতা কে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবে। হুমকি ফোন আসছে। কোনও কিছু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী থাকবে।

   

এরপর শুক্রবার রাতে কৌস্তভের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪ এ এবং ১২০ বি ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে গ্রেফতার করা হয়। কৌস্তভকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে একযোগে সরব হয়েছে বাম ও কংগ্রেস।

আদালতে দীর্ঘ সময় ধরে সওয়াল জবাব পর্ব। কৌস্তভের সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ প্রায় ১০০ জন আইনজীবী। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, মাঝরাতে একজন আইনজীবীকে তুলে আনা হল। পুলিশকে কে এই অধিকার দিয়েছে। তিনি কী কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত? তাঁর বাড়িতে কিছু সন্ত্রাসমূলক কাজের হদিশ মিলেছে?

একটি বই বাজারে এসেছে, কৌস্তভ বাগচী সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অতীত এবং বর্তমানকাল নিয়ে যেটা লেখা রয়েছে সেটাই বলেছেন। সেই বই বাজারে এখনও রয়েছে। সরকারের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়নি। দুই পক্ষের মতামত শোনার পর জামিন মজুর করে আদালত।