কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (Calcutta High Court) দিয়েছে, যার মাধ্যমে চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন (Calcutta High Court) আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি বলেন, “এই ভাতা ছিল সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া কর্মীদের জন্য। রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আরও অনেকের নাম সামনে না আসে।”(Calcutta High Court)
হাইকোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের বক্তব্য রাখেন ফিরদৌস শামিম। তিনি বলেন, “যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের কেন ভাতা দেওয়া হবে? এই ভাতা আসলে রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি পিঠ বাঁচানোর স্কিম ছিল। দুর্নীতির শিকার হওয়া কর্মীদের এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারি(Calcutta High Court) কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ করার জন্যই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি আসলে জনগণের টাকার অপব্যবহার। সিবিআই যাঁদের সম্পর্কে তদন্ত শুরু করতে চেয়েছিল, তাঁদেরই মুখ বন্ধ করতে এই ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।”(Calcutta High Court)
ফিরদৌস শামিম আরও বলেন, “হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ। রাজ্য এখন আর এই ভাতা দিতে পারবে না, কারণ এটি সরাসরি জনগণের টাকার অপব্যবহার।” তিনি অভিযোগ করেন যে, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যার সঙ্গে অনেক সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রিসভার(Calcutta High Court) সদস্যরাও জড়িত। তবে, রাজ্য এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, যাতে এসব টাকা আদায় করা যায়। তিনি বলেন, “জেলাশাসকের উপর নির্দেশ ছিল, ল্যান্ড রেভিনিউ হিসেবে সেই টাকাগুলি আদায় করতে হবে, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি।”
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত লোকদের টাকা আদায় করা হয়নি, অথচ তারা ভাতা পাচ্ছে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক ছিল, কারণ জনগণের টাকায় এমন কিছু করা যায় না।(Calcutta High Court)
তবে, রাজ্য সরকার এই ভাতার সিদ্ধান্তকে একটি “দয়ালু” পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে, কারণ এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার চাকরিহারা কর্মীদের কিছু সহায়তা প্রদান(Calcutta High Court) করতে চেয়েছিল। তবে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সেই পরিকল্পনাকে কার্যকর হতে দিল না। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে এবং সেই সময়ে রাজ্য সরকার হলফনামা দেবে। এরপর দুই পক্ষের হলফনামা জমা দেওয়ার পর আবার মামলাটি শুনানির জন্য উত্থাপন হবে।(Calcutta High Court)