বদলাচ্ছে ল্যান্সডাউন প্লেসের নাম সিদ্ধান্ত পৌরসভার

আবার পরিবর্তন কলকাতায়, এবার বদলে যাবে একটি রাস্তার নাম। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও কলকাতার বহু রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনকি মেট্রো স্টেশনেরও…

আবার পরিবর্তন কলকাতায়, এবার বদলে যাবে একটি রাস্তার নাম। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও কলকাতার বহু রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনকি মেট্রো স্টেশনেরও নাম বদলেছে, জুড়েছে বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বদের নাম। এবার সেই লিস্টে আবারো যোগ করা হবে কলকাতার একটি জনবহুল রাস্তার নাম। এবার পরিবর্তন করা হবে ল্যান্সডাউন প্লেসের নাম এমনই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরসভা। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন বিখ্যাত গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও তাকে স্মরণ করেই এই রাস্তার নাম হতে চলেছে প্রতুল মুখোপাধ্যায় সরণি।

Advertisements

এর আগেও কিছু রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বদের নামে তাতে জায়গা পেয়েছেন বড়ে গুলাম আলী খাঁ, রবিশঙ্কর, শ্যামল মিত্র বা উত্তম কুমারের মতো ব্যাক্তিত্বরা। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বা বিভূতিভূষণ তো আছেন ই। এবার তাদের নামের সঙ্গে জুড়তে চলেছে সদ্য প্রয়াত প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের নাম। প্রতুল মুখোপাধ্যায়, যিনি বাংলা গানের জগতে এক অমূল্য রত্ন, তার অসাধারণ কণ্ঠস্বর এবং সংগীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা মানুষের হৃদয়ে জীবিত। তাঁর অসংখ্য গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আধুনিক বাংলা গান তার কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবে। মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি প্রয়াত হয়েছেন, তবে তাঁর গান ও সঙ্গীত প্রতিভা বাঙালির মনে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।

   

ল্যান্সডাউন প্লেসের নাম পরিবর্তন করে তাকে স্মরণ করার মাধ্যমে শহরের সংস্কৃতির প্রতি কর্তৃপক্ষের শ্রদ্ধা এবং সচেতনতার পরিচয় মিলছে। একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি এবং গানের মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন স্পর্শ করেছিলেন তিনি। কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নাম পরিবর্তন মূলত শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার এবং শহরের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে। বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের নাম রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের অবদান ও সংগ্রামকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এছাড়া, নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে শহরের সড়কগুলোর সাংস্কৃতিক ও ইতিহাসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে, যা শহরের সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। প্রতুল মুখোপাধ্যায় সরণি নামকরণের মধ্য দিয়ে কলকাতার জনগণের কাছে তার সঙ্গীত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সম্মান জানানো হচ্ছে।