লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হতেই একের পর এক অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারমধ্যেই রাজভবনে পিস রুম চালু করেছেন সিভি আনন্দ বোস। এই বিষয়ে আগে থেকেই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের দিন তিনি রাজভবন
ভোট চলাকালীন ‘পিস রুম’-এর নামে @AITCofficial বিরোধী প্রচারের মঞ্চ চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটের দিন এমনভাবে দিল্লি নিযুক্ত পদাধিকারীর প্রচার রীতিনীতি বহির্ভূত। আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের দায়িত্বে। সেখানে রাজভবনের কোনো ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল পরিকল্পিতভাবে…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 19, 2024
বসে সারাদিন ভোটের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবেন। সেইমতো সকাল বেলা তিনি কালীঘাটে পুজো দিয়েই সোজা রাজভবনে পিস রুমে চলে আসেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি রাজভবনে বসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর সংগ্রহ করতে থাকেন। আর এই বিষয়কে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি এই পুরো ঘটনাকে বিরোধীদের প্রচার মঞ্চ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ” পিস রুমের নামে তৃণমূলের বিরোধী প্রচারের মঞ্চ চালাচ্ছেন রাজ্যপাল।”
এখানেই শেষ নয় শুক্রবার সকালে তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটের দিন এমনভাবে দিল্লি নিযুক্ত পদাধিকারীর প্রচার রীতিনীতি বহির্ভূত। আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের দায়িত্বে। সেখানে রাজভবনের কোনো ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ভোট আসনগুলিতে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূলের প্রতিবাদে। তাই রাজভবনকেই অপব্যবহার করছেন ভোট চলাকালীন।” প্রসঙ্গত ভোটের দিন উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু তাঁর সফরে বিধিনিষেধ লাগায় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল।
তৃণমূলের তরফে বলা হয় রাজ্যপাল ভোটকে প্রভাবিত করতে পারেন। ভোট চলাকালীন তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভোট প্রভাব খাটাতেও পারেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু রাজ্যপাল এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জানিয়ে বলেন, ” আমার গতিবিধির অপর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমি চাই সারা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। তাই সারাদিন রাজভবন থেকে আমি গোটা ভোট গ্রহণের উপর নজর রাখব।” এবার সেই নজরদারিকে তৃণমূলের বিরোধী মঞ্চের প্রচার বলে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।