শনিবার ফেসবুকে মমতা-অভিষেকের ছবি দিয়ে কুণাল লেখেন, “আরজিকর। আমরাও প্রতিবাদী। দোষী/দের ফাঁসি চাই। কিন্তু বাংলা ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বামরামের শকুনের রাজনীতি মানব না।
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব রুখতে লড়াইতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেনাপতি অভিষেককেও সক্রিয়ভাবে সামনে চাই। আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে সঠিক পদক্ষেপে সব চক্রান্ত ভাঙতেই হবে।”
ডার্বিতে এগিয়ে কে? ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ‘হুঙ্কার’ দেবাশিসের
শুক্রবার দোষীর সাজার দাবিতে পথে নেমেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই মিছিলে দেখা যায়নি তৃণমূল ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সন্ধ্যার পর জল্পনা চরমে ওঠে। সূত্রের খবর, আরজি কর গতকালই দলের মিডিয়া সেলের দায়িত্ব ছেড়েছেন অভিষেক ঘনিষ্ঠরা। আপাতত সেই দায়িত্বে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
উপত্যকায় ভোট! বিজেপিকে রুখতে জোট বাঁধার ‘প্ল্যান’ ওমর-মেহবুবার
এরমধ্যেই কুনালের পোস্ট ঘিরে জল্পনা বাড়ল রাজনৈতিক মহলে। কারণ আরজি কর কাণ্ডে এতদিন সামনে থেকে কোনও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি অভিষেককে। শুরু থেকেই নিজের হাতে গোটা পরিস্থিতি সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশি তদন্ত থেকে সিবিআই, প্রতিবাদী মিছিলের রাতে আরজি করে ভাঙচুর। সবটাই একা হাতে সামলেছেন মমতা। শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ের মিছিলে দলের অন্যান্য নের্তৃত্বকে নিয়ে হাঁটলেও সেখানে দেখা মেলেনি তৃণমূলের ‘সেনাপতি’র। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অভিষেকের ‘নীরবতা’ নিয়ে। জাতীয়স্তরে যেখানে আরজি কর নিয়ে প্রবল বিরোধিতা বাড়ছে, সেখানে কী করে ‘চুপ’ থাকতে পারেন অভিষেক?
সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। আর তারপর থেকেই কী ‘ফোকাস’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে? জল্পনা উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এলেও দলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে হাইকমান্ডের সঙ্গে মনকষাকষি হয়েছিল অভিষেকের। কিছু প্রার্থীর মনোনয়োন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। তার জেরেই কী কিছুটা ‘লাইমলাইট’ কেড়ে নেওয়া হল?
এছাড়াও আরজি করের প্রাক্তণ প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বদলি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। কুণাল বলেন, “সন্দীপ ঘোষের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ট্র্যান্সফার করা মানুষের আবেগে ধাক্কা লেগেছে।”