আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের প্রতিটি কোনায়। দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে হাজারও মানুষ। চিকিত্সকেরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে অপরাধীর চরমতম শাস্তির দাবিতে অনড়। গত ১৪ অগস্ট রাত দখলের কর্মসূচি নিয়েছিল মেয়েরা। রাজ্যের প্রতিটি কোনায় সেই রাত দখল থেকে চলা আন্দোলন আজও অব্যাহত। আর সেই রাত দখল থেকে পথ দখল সবেতেই বামেদের (CPIM) মূলত বিরোধীদল হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। যার জেরে কিছুটা বেকায়দায় পড়তে হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে (TMC)।
জেলে বসেই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ১৫ অগস্ট দিল্লিতে তেরঙ্গা উত্তোলনের ভার দিলেন কাকে?
এদিকে চুপ করে বসে নেই রাজ্য প্রশাসনও। নির্যাতিতার দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক সভা থেকে অপরাধীর ফাঁসির দাবি তোলেন তিনি। প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এরমধ্যেই ‘টুইস্ট’ হয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ইস্তেহার। আর এই ইস্তেহার নিয়েই বামেদের পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
কী বলা হয়েছে সিপিএমের ইস্তেহারে?
লোকসভা ভোটের ইস্তেহারে ১৮ নম্বর পাতায় গণতন্ত্র ও সংবিধান সংক্রান্ত দাবিতে মৃত্যুদন্ড বা ফাঁসি রদ করার দাবি জানানো হয়েছে সিপিএমের (CPIM) তরফে। আর এই বিষয়টিকেই এবার হাতিয়ার করেছে শাসকদল তৃণমূল। শনিবার নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তেহার তুলে ধরে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসির দাবি তুলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসির দাবি করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসও দোষীদের ফাঁসি চেয়েছে। অথচ সিপিএম ফাঁসির দাবি রদ চেয়েছে। সিপিএমের দাবি যত বড়ই অপরাধ হোক, অপরাধীর ফাঁসি চায় না তাঁরা।”
RGKor.@MamataOfficial চাইছেন ফাঁসি, মৃত্যুদন্ড।@abhishekaitc চাইছে চরমতম ব্যবস্থা, মৃত্যুদন্ড।@AITCofficial চায় যথাযথ তদন্ত, কঠিনতম শাস্তি, মৃত্যুদন্ড।
আর সিপিএমের দাবি, যত বড় অপরাধ হোক, মৃত্যুদন্ড চলবে না। ফাঁসি রদ হোক। pic.twitter.com/P3Yw7YEsYG
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 24, 2024
Sumit Rathi: ৬ বছর কলকাতায় থেকেও কলকাতার চাপ সামলাতে পারলেন না সুমিত
এবার সিপিএমের ইস্তেহারকেই আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে জুড়তে চেয়ে কুনাল ঘোষ নয়া কৌশল নিতে চাইছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তবে সিপিএমের পুরনো ইস্তেহারে আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি বামেদের কতটা বেকায়দায় ফেলতে পারবে তৃণমূল, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।