মহালয়ার আগমন লগ্নে উৎসবমুখী শহরবাসী

২ রা অক্টোবর মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের। মহালয়ার আগে আজ অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ শনিবার। দেবীপক্ষের সূচনার আগে শেষ শনি ও…

২ রা অক্টোবর মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের। মহালয়ার আগে আজ অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ শনিবার। দেবীপক্ষের সূচনার আগে শেষ শনি ও রবিবার কতটা ভিড় রয়েছে শপিং মল ও বিভিন্ন বাজারে? পুজোর (Durga Puja 2024) বাজারে প্রতিবারের মতো এবারেও কি সেই চেনা ভিড়টা চোখে পড়ছে?

Advertisements

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে এবারের পুজো অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এবারে বাঙালির প্রিয় উৎসবে প্রতিবারের মতো সেরকম জাঁকজমক চোখে পড়ছে না। এমনকি পুজোর আগে হাতিবাগান, গড়িয়া, এসপ্ল্যানেড থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারে মানুষের উপচে পড়া যে ভিড় লক্ষ্য করা যায় এবারে সেটাও কোথাও যেন একটু ফিকে হয়ে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে প্রথমদিকে মানুষ উৎসব বিমুখ হলেও উৎসবের আগে ধীরে ধীরে যেন চেনা ছন্দে ফিরছে সকলে। আর তার ফল দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বাজারে। মহালয়ার আগে শেষ শনিবারে সকাল থেকেই পুজোর কেনাকাটার জন্য ভিড় দেখা যাচ্ছে অনেক বাজারে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজের হাতে পরখ করে জিনিস কিনছেন ক্রেতারা।

এমন আবহে অনেক বিক্রেতার মুখে আবার হাসিও ফুটছে এর কারণে। কিন্তু সব জায়গায় যে বাজারের পরিস্থিতি একই রকম তেমনটা নয়। কিছু কিছু জায়গায় ক্রেতাদের সেরকম ভিড় দেখা যাচ্ছে না। আর তার জন্য বিক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চোখে পড়ছে।

অনেকজায়গায় আবার কোনও কোনও বিক্রেতা এবারের বেচা-কেনা নিয়ে বেশ হতাশ। তবে যেই কারণের জন্য এতদিন ধরে পুজো বিমুখ হয়েছিল কলকাতাবাসী সেই কারণ কিন্তু তারা ভুলে যাননি। উৎসবে যোগ দিলেও আরজি কর কাণ্ডের জন্য প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরেননি কেউ।

সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে যেমন ‘বিচার চাই’ বলে প্রতিবাদে সরব হচ্ছে তেমনি উৎসবমুখীও হচ্ছেন। তবে পুজো শুরুর আগে বিভিন্ন বাজারে এই চিত্রের বদল ঘটে আরও ক্রেতা যে বাজারমুখী হবেন এখন সেই আশায় বুক বাঁধছে সকল বিক্রেতারা।