ছত্তিশগড়ের মারওয়াহিতে ফের একবার ভাল্লুকের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাল্লুকের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২ জন, আহত হয়েছেন ৫ জন। বিষয়টি মারওয়াহি রেঞ্জ এলাকার। বেলঝিরিয়া, কার্গি কালা ও খুরপা এলাকার মানুষের ওপর ভাল্লুক হামলা করেছে। এসব গ্রামে ভাল্লুকের আক্রমণে পৃথক ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন, মারা গেছেন ২ জন।
সূত্রের খবর, বেলঝিরিয়া গ্রামে ১৩ বছরের এক কিশোরী ছাগল চরাতে মাঠে গিয়েছিল। এ সময় একটি ভাল্লুকের আক্রমণে পড়ে মেয়েটি। ভালুকের আক্রমণে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়।তার মুখ ও পিঠে খারাপভাবে আঁচড় দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। পরদিন একই গ্রামের তিন জনকে আক্রমণ করে ভাল্লুক। ভাল্লুকের আক্রমণে তিনজনই গুরুতর আহত হয়েছে, আর একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কার্গিকালাতে, জঙ্গলের দিকে যাওয়া দুই ব্যক্তিকেও একটি ভাল্লুক আক্রমণ করেছিল বলে খবর।
স্থানীয় সুত্রের খবর, বেলঝিরিয়া গ্রামের বাসিন্দা চরণ সিং খেরওয়ার, রামকুমার, সুক্কুল প্রসাদ, সবাই সকালে মাশরুম তুলতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই ভালুকটি তাকে আক্রমণ করে। ভাল্লুকের আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুকুল প্রসাদের। আহত হয়েছেন আরও দুই জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য মারওয়াহি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কার্গিকালার বাসিন্দা সেবক লাল যাদব এবং সেমলাল গন্ড দুজনেই ক্ষেত দেখতে গিয়েছিলেন। তাকেও একটি বন্য ভালুক আক্রমণ করে বলে জানা যাচ্ছে। ভালুকের আক্রমণে আহত হওয়ার পর তাকেও মারওয়াহি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। গত দেড় মাসে, মারওয়াহি বন বিভাগে ভাল্লুকের ২৫ টিরও বেশি হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার কারণে মারওয়াহি বন বিভাগের জামওয়ান্ত প্রকল্পে আবারও প্রশ্ন চিহ্ন চিহ্নের মুখে? একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনাঞ্চলে ক্রমাগত গাছ কাটা, অবৈধ দখল, অবৈধ খনন, বনজ সম্পদে মানুষের হস্তক্ষেপ, ভাল্লুকসহ অন্যান্য প্রাণী ক্রমাগত আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ছে ও লোকালয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা।