এমএলএ হোস্টেলের বাইরে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠল (kolkata police) কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই। এর আগে এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। বিতর্কও হয়েছে। এরপর আবার গলা টিপে ধরার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, তনয়া বিশ্বাস নামে একটি চাকরিপ্রার্থীকে ভ্যানে তোলার সময়ে গলা টিপে ধরে পুলিশ। আরও কয়েকজন বলেছেন, তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন এমএলএ হস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সকালে এমএলএ হস্টেলের বাইরে ধর্নায় বসেন এসএলএসটি-র ২০১৬ চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিড স্ট্রিট চত্বর। প্রথমে মাইকিং করে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না থেকে উঠে যেতে বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর চাকরি প্রার্থীরা বিধায়ক হোস্টেলের গেটের সামনে চলে যান। গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের বিধায়করা গেটের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান।
চাকরিপ্রার্থীদের একজন বলেন, আমরা ভিক্ষার চাকরি চাই না। বেঁচে থেকে চাকরি করতে চাই, পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই। ১০টা থেকে ৫টা স্কুলে থাকতে চেয়েছি, আর কী চেয়েছি? পরিবারকে সাহায্য করতে পারি না, এর থেকে যন্ত্রণার আর কী আছে?
উল্লেখ্য, এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কর্মীর কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে রাজ্য মহিলা কমিশন।