Kolkata Police: প্রতি শিশুর মূল্য চার লক্ষ টাকা, কলকাতায় শিশু বিক্রির চক্র বানচাল

সবার সামনে চলছে শিশু বিক্রির চক্র (child trafficking)। কে বুঝবে? দত্তক সন্তান নেওয়ার আড়ালে এই চক্রকে বানচাল করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। প্রতি শিশুর মূল্য…

Kolkata Police: প্রতি শিশুর মূল্য চার লক্ষ টাকা, কলকাতায় শিশু বিক্রির চক্র বানচাল

সবার সামনে চলছে শিশু বিক্রির চক্র (child trafficking)। কে বুঝবে? দত্তক সন্তান নেওয়ার আড়ালে এই চক্রকে বানচাল করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। প্রতি শিশুর মূল্য চার লক্ষ টাকা। এভাবেই চলতে থাকা বেআইনি কারবারের পর্দা ফাঁস করা হয়েছে।

  • দত্তক সন্তানের নামে শিশু বিক্রির চক্র
  • সন্তানহীন দম্পতিদের অসহায়তার সুযোগে বিপুল লেনদেন

হরিদেবপুর থানার অধীন কবরডাঙ্গার কাছে ‘শ্রী রামকৃষ্ণ নতুন জীবনদান সেবাশ্রম’ নাম দিয়ে দত্তক সন্তানের নামে শিশু বিক্রির চক্র চলছিল। একটি বিজ্ঞাপনী পোস্টার থেকে পুলিশ এই তদন্ত চালিয়ে কয়েকজনকে ধরেছে।

কলকাতা পুলিশ জানাচ্ছে, কবরডাঙ্গা মোড়ের কাছে হরিদেবপুর থানার সাব ইনস্পেকটর প্রীতম বিশ্বাসের নজরে পড়ে একটি পোস্টার। এতে লেখা ‘সন্তান দত্তক নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা আমাদের আশ্রমে যোগাযোগ করুন’।

বিজ্ঞাপন দেখেই সন্দেহ জাগে পুলিশ অফিসার প্রীতম বিশ্বাসের। ওই বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বর ও নান লেখা রঞ্জিত দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রঞ্জিত জানায় তিনি তাঁর স্ত্রী মাধবী রায় এক আত্মীয়া সুপ্রিয়া নাইয়া ও অন্যান্যরা মিলে চালান এই ‘আশ্রম’। সন্তানহীন দম্পতিরা সহজে দত্তক নেওয়ার সুবিধা পান। প্রতিটি শিশুর মূল্য চার লক্ষ টাকা।

Advertisements

এর পরেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় পুলিশের। এসআই প্রীতম বিশ্বাসের দেওয়া তথ্য ধরে হরিদেবপুর থানার ওসি সুব্রত দে তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রম ও তার কার্যকলাপ সংক্রান্ত কোনও বৈধ নথিপত্র নেই রঞ্জিতের কাছে। সন্তান দত্তক নেওয়ার নামে চলছে জালিয়াতির ব্যবসা। সন্তানহীন দম্পতিদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে রঞ্জিতকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আশ্রমটির বিজ্ঞাপনী পোস্টার ও নথিপত্র।

রঞ্জিত (৪৬), মাধবী রায় (৩৫), সুপ্রিয়া নাইয়া অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের হয়েছে এফআইআর। রঞ্জিত বাদে বাকি সকলেই ফেরার।