Kolkata Metro Rail: ‘অপরিকল্পিত মেট্রো প্রকল্পের’ জন্য বউবাজারে ধস, এলাকায় সেলিম

কলকাতার (Kolkata) একেবারে মধ্যস্থলে বউবজার (Bowbazar) জুড়ে প্রবল ধসের ভয়। ফের ফাটল দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বাড়িতে। এই অবস্থায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তারা ধসের আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন।…

কলকাতার (Kolkata) একেবারে মধ্যস্থলে বউবজার (Bowbazar) জুড়ে প্রবল ধসের ভয়। ফের ফাটল দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বাড়িতে। এই অবস্থায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তারা ধসের আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন। ঘরছাড়া কমপক্ষে ৬০০ জন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বউবাজারের বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল পর্যবেক্ষণ করলেন সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিম। 

অপরিকল্পিত মেট্রো প্রকল্পের জন্য আবারও ক্ষতির সম্মুখীন কলকাতার বৌবাজার অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বাড়ি। এমনই অ়ভিযোগ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। অভিযোগ, ‘প্রায় নিয়মিত এই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বৌবাজার এলাকার মানুষ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না প্রশাসন।’

মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণেই এমন দুর্দশা বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। যে কোনও সময় বউবাজার এলাকা ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তীব্র।

শুক্রবার ভোরে বউবাজারে ফের ফাটল ধরে ১০ টি বাড়িতে।এলাকা ঘিরে স্থানীয়দের বাড়ি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। মেট্রো রেল আধিকারিকদের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের বার্তা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ফের ফাটল দেখা দে়ওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি বলেন, রেল আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যারা কাজ করছেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। রেল বোর্ডের আধিকারিকরা না এলে সমস্যার সমাধান না হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। 

শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ফাটল ধরে। দুর্গা পিতুরি লেনের পাশের গলি মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটলের জেরে তীব্র আতঙ্কিত এলাকাবাসী। 

২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে বউবাজারের মেট্রো রেলের কাজ। খোঁড়াখুঁড়ির পর একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। ৬০০ জন ঘরছাড়া। চলতি বছরেও একই বিপদ দেখা দিয়েছিল৷ সেই সময় স্থানীয়দের হোটেলে পাঠানো হয়েছিল৷ এখন আবার নতুন করে ফাটল দেখা দিতে চিন্তা বেড়েছে। বাড়ছে ভয়।

কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, মদন দত্ত লেনের যে জায়গায় একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, ঠিক নিচেই তৈরি হচ্ছিল ক্রস প্যাকেজ তৈরির কাজ। গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে কাজটি শুরু হয়েছিল। মাটি শক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয় একপ্রকার রাসায়নিক। কিন্তু সেখান থেকে লিক করে জল বের হতেই দেখা দেয় বিপত্তি। তা মেট্রো কর্মীদের নজরে পড়লেও এত বড় বিপদ হতে পারে, তা আঁচ করতে পারেননি কেউ।