প্রশস্ত দরজা, বেশি আসন, উন্নত সুরক্ষাব্যবস্থা! কলকাতা মেট্রোয় চালু অত্যাধুনিক রেক

যাত্রীস্বার্থে বড় উদ্যোগ নিল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। আজ অর্থাৎ ৫ অগস্ট যাত্রীদের পরিষেবার জন্য চালু হল এমআর-৫১৩ রেক, যা ডালিয়ান রেক নামে পরিচিত। যাত্রীদের…

Kolkata Metro Services on the East-West Corridor to Be Suspended for 8 Days This Month"

যাত্রীস্বার্থে বড় উদ্যোগ নিল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। আজ অর্থাৎ ৫ অগস্ট যাত্রীদের পরিষেবার জন্য চালু হল এমআর-৫১৩ রেক, যা ডালিয়ান রেক নামে পরিচিত। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং যাত্রার আনন্দ বাড়ানোর জন্য এই রেকটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যে ভরপুর। বর্তমানে চালু এসি রেকের তুলনায় এই ধরণের রেকে ১০০ মিমি প্রশস্ত দরজা রয়েছে।

শুধু তাই নয়, এই কোচের আসনক্ষমতাও বেশি। এছাড়া ডালিয়ান রেকে রয়েছে উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, নতুন রেক এমআর-৫১৩ এদিন দমদম স্টেশন থেকে দুপুর ১২.০৬ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছয় দুপুর ১২.৫৫ মিনিটে। আবার কবি সুভাষ থেকে ১৩.০০ টায় যাত্রা শুরু করে দমদম স্টেশনে পৌঁছায় ১৩.৪৯ মিনিটে।

   

এই রেকগুলির প্রশস্ত দরজা ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের সহজে প্রবেশ এবং প্রস্থান সহজতর করবে। ঝাঁকুনিও আগের চেয়ে কম হবে। কোচের ভেতরে সিসিটিভি কভারেজ, মডিউলার এবং প্রশস্ত ভেস্টিবিউল, প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আরও আসনের ব্যবস্থা সহ বর্ধিত আসন এই রেকগুলির কয়েকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বাংলায় কবে গড়াবে ‘বন্দে ভারত মেট্রো’র চাকা? প্রথম চলবে কোন রুটে?

এগুলি ছাড়াও, সুন্দর ডিজাইন, উন্নত এয়ার ডিফিউজার, উচ্চ ক্ষমতার এসি, বাইরের ইঙ্গিত বাতি সহ ছোট এবং মসৃণ অ্যালার্ম ডিভাইস, উজ্জ্বল মাল্টিকালার মাল্টিলিঙ্গুয়াল ডিসপ্লে বোর্ড, ইউনিফর্ম আলোকসজ্জা, হুইল চেয়ার পার্কিং সুবিধা এবং ডোর সাইড হ্যান্ড রেলের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি কলকাতা মেট্রোর এই রেকগুলিকে অনন্য করে তুলেছে।

এই রেকগুলিতে কিছু উন্নত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম, স্ট্র্যাপ সহ নিয়ন্ত্রিত স্রাব অগ্নি নির্বাপক, প্রশস্ত নির্গমন দরজা এবং অ্যান্টি-স্কিড রাবার মেঝে সহ নির্বাসন র‍্যাম্প। এই জাতীয় বৈশিষ্ট্যগুলি যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।

বাজেটে কলকাতা মেট্রোর লক্ষ্মী লাভ! এক ধাক্কায় বরাদ্দের ‘লং জাম্প’

শুধু অত্যাধুনিক রেক চালুই নয়, এর পাশাপাশি সিগন্যালিং সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নয়া এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করতে ব্যয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। শুরুতে জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড এবং কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোর করিডোরে এই উন্নত সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।