কলকাতায় (Kolkata) কার পার্কিং বিরোধ নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Kolkata Mayor Firhad Hakim) হতাশা সামনে এসেছে। তিনি বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। এখন বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। যাবার সময় হয়েছে।” তার এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ও কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম পার্কিং বিরোধ নিয়ে দলের প্রতি কিছুটা ক্ষুব্ধ।
রবিবার, কলকাতার চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ উপলক্ষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।
Birbhum: মমতা দায়িত্ব নিতেই তৃণমূল ছেড়ে বামে ঢুকলেন শত শত সংখ্যালঘু
রবিবার চেতলাতে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আজ আমি এখানে ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর। আমি ২৫ বছর ধরে আপনাদের সেবা করেছি। অবশ্যই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে শ্মশান থেকে আমার এক দাদাকে দেখতে এসেছি। হয়তো সেই সময়টা আমার জন্য কিছুদিনের মধ্যে আসবে, কিন্তু মানুষ আসবে, মানুষ যাবে। সমাজ থাকবে, উন্নয়ন থাকবে। নতুন প্রজন্ম হবে সমাজের কর্ণধার। তার মাধ্যমেই উন্নয়ন হবে, একজন ববি হাকিম আবার আসবেন এই চেতলাতে।
Hanuman Jayanti: পুলিশে ‘ভরসা’ হারিয়ে আধাসেনা ঘেরাটোপে বাংলায় হনুমান জয়ন্তী
রাজনৈতিক মহলের মতে, ববি হাকিম যা বলছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি চেতলা এলাকার অভিভাবক। তিনি বলেন, চেতলাতে নতুন ফিরহাদ হাকিম তৈরি হবে। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এমন সময়ে ববি হাকিমের মন্তব্যে ঔদ্ধত্য ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
কলকাতার মেয়রের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা জোরদার
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্ক চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পরে, ফিরহাদ হাকিমকে গাড়ি পার্কিং ফি তুলে নিতে হয়েছিল। যদিও ফিরহাদ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা না বললেও, রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে যে, যেভাবে কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তার ওপর রাগান্বিত বলে জানা গেছে। নির্দিষ্ট মহলে বলা হচ্ছে এই ভাবে ফিরহাদ হাকিমের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দল।
যদিও বিষয়টিকে এভাবে দেখতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি এখানে কোনো বিতর্ক দেখছি না। তিনি একজন সিনিয়র নেতা। তিনি যা বলেছেন তা জীবন দর্শন নিয়ে। এটাকে অন্য কোনোভাবে দেখার কোনো কারণ নেই।”