নিউজ ডেস্ক, শ্রীনগর: সোমবার কাশ্মীর উপত্যকায় ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন জঙ্গিদের হাতে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনী (Indian Army) তার পাল্টা জবাব দিল। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগেই জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালায় সেনাবাহিনী। সেনার গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিন লস্কর জঙ্গি (Lashkar militants) খতম হয়েছে।
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেশ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের গোয়েন্দা দফতর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে নতুন করে নাশকতার ছক কষছে। জঙ্গিদের সেই ছক বানচাল করে দিতেই মঙ্গলবার ভোরে সোপিয়ানের বেশ কয়েকটি জায়গায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। এই তল্লাশি অভিযান ৩ লস্কর জঙ্গি খতম হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে অনন্তনাগ ও বান্দিপোরায় সেনাবাহিনী গুলি করে দুই জঙ্গিকে খতম করেছিল। দুই জঙ্গির মধ্যে ইমতিয়াজ আহমেদ আর লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ইমতিয়াজ পাক নাগরিক বলে অনুমান।
সম্প্রতি কাশ্মীরে একদিকে যেমন জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেড়েছে, তেমনই সীমান্তে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশের সেনাবাহিনীও মাঝেমধ্যেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে এখন একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একদিকে চিনের আগ্রাসন রুখতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে আবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ রোধ করা গেলেও ঘরের শত্রুদের নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে দেশ। কারণ জঙ্গিরাও তাদের পরিকল্পনা বদলেছে। এই মুহূর্তে পাক জঙ্গিরা চেষ্টা করছে, কাশ্মীরের যুবকদের নিজেদের দলে টানতে এবং প্রশিক্ষণ দিতে। সেই প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ গোটা ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
কাশ্মীরের যুবকদের সামান্য অর্থের বিনিময়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কার্যত কিনে নিতে চাইছে। এই এই স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে যোগদানই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের যুবকদের যতটা সম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন জঙ্গিদের পাতা ফাঁদে পা না দেয়।