Kanchan Mullick Exclusive : ‘দল নির্দেশ দিলে আবার আমি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে যাব’:কাঞ্চন মল্লিক

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। অনেকের কাছে বিষয়টা বাসি, বস্তাপচা কনসেপ্ট। তবুও বিষয়টা এখনও দগদ্গে ‘ঘা’ -এর মতো। গতকাল রাতে দু’বার ফোন…

kalyan - kanchan

আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। অনেকের কাছে বিষয়টা বাসি, বস্তাপচা কনসেপ্ট। তবুও বিষয়টা এখনও দগদ্গে ‘ঘা’ -এর মতো। গতকাল রাতে দু’বার ফোন করেছিলাম, বেজে গিয়েছিল। শুনলাম তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী নাকি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। প্রচারের মাঝপথ থেকে ফিরে কলকাতা এবং তারপরে সোজা হাসপাতালে। লক্ষ করলাম, গায়ে সেই সকালের টি-শার্ট। বদলানোর সময় হয়নি মনে হলো। অপমানের দাগটাও কি তবে রয়ে গেল? এই ক্ষতগুলো কি থেকে যায়? নাকি সময়ের তালে সয়ে যায় ?

একবার রিং হতেই ফোনটা তুলেই মিহি গলায় শুনলাম, ‘হ্যালো!’ জিজ্ঞাসা করলাম, ” গতকালের ঘটনায় কি আপনি মর্মাহত?” তিনি একটু সময় নিয়ে বললেন, ” আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করাতে হবে। এটাই আপাতত একমাত্র লক্ষ্য।” আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ” আপনি কি নিজের ইচ্ছেয় প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন ?” তিনি উত্তর দিলেন, ” আমি যা করেছি দলের নির্দেশে করেছি।” আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ” এই মুহূর্তে কোনও প্রথম সারির নেতৃত্বদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে? আপনি কি অভিযোগ করেছেন এই বিষয়ে ?” তিনি একটু ভেবে বললেন, ” আপাতত তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করতে হবে, এটাই লক্ষ্য!” পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম, ” আপনি কি এই ঘটনায় মর্মাহত ?” তিনি পাল্টা বললেন, ” ভাই, তোমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলে কী করতে ?” ওনার কষ্টটা বোঝার মতো কেউ নেই আপাতত! জনসমক্ষে অপমান কি সহজে হজম হয়? তবুও তিনি বললেন, ” দল নির্দেশ দিলে আবার আমি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রচারে যাব! দল যা বলবে তাই করব।”

জিজ্ঞাসা করলাম, ” উনি বলছেন মহিলারা আপনাকে নাকি পছন্দ করছে না!” উনি হেসে বললেন, ” সেটা ওনাকেই জিজ্ঞাসা করুন!” আবারও বললাম, ” আপনার এই দ্বিতীয় বিয়ে নিয়েই কি উনি ইঙ্গিত করতে চেয়েছন?” কাঞ্চন বাবু বললেন, ” আমার বিয়ে আর রাজনীতি দুটো আলাদা মেরু! এটার সঙ্গে অন্যটার কোনও সম্পর্ক নেই।”কিন্তু কী হয়েছিল গতকাল? বৃহস্পতিবার সকালেও কোন্নগরের স্টেশন রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে বেরিয়েছিলেন প্রচারে। উদ্দেশ্য, কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিবিড় জনসংযোগ চালানো। হুড খোলা গাড়িতে আরও কয়েক জনের পাশাপাশি কল্যাণের সঙ্গেই ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন। কিন্তু প্রচার শুরুর আগেই কাটল তাল। কল্যাণ চাননি তাঁর প্রচার গাড়িতে থাকুন কাঞ্চন। সে কথা কল্যাণ জানান কাঞ্চনকে। তার পরেই উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণের প্রচার গাড়ি ছেড়ে নেমে যান। এই ঘটনা হতে পারে ছোট্ট, কিন্তু অভিঘাত কি খুব বড়? ভোট না মিটলে বোঝার উপায় নেই।