কলতানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে নিজেদের ৫ দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর সেই…

kalatan case hearing at calcutta high court

আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে নিজেদের ৫ দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর সেই অবস্থান বিক্ষোভ স্থানে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও আক্রমণের ছক কষার অভিযোগে কিছুদিন আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত (Kalatan Dasgupta)।

এরপর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল। আর এদিনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারি নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। প্রথমে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনেন প্রধান বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এরপর কলতানের গ্রেফতারির কারণ নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। ফোনে কথোপকথনের যে অডিও রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেটা পুলিশ কোথা থেকে পেল তা এদিন জানতে চায় আদালত।

   

এর পাশাপাশি যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে সেটা কি করে একজন রাজনীতিক ব্যক্তির কাছে এল তাও এদিন জানতে চেয়েছে বিচারপতি। এদিন কলতানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানতে চান, যদি এই ধরণের কোন কথোপকথন হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলেও কলতান ওই কাজ করার জন্য কাউকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শোনা যায়নি। এদিকে আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, গত পাঁচ মাসে কলতান এবং সঞ্জীবের মধ্যে ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে।

এর মধ্যে ৬-১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৪ বার কথা হয়েছে। আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, “এই ঘটনায় কলতান ‘কৃষ্ণ’ আর সঞ্জীব ‘অর্জুনে’র ভূমিকা পালন করেছেন। মাথা ফাটানোর প্রশ্নের উত্তরেও কলতান না বলেননি। সাহেব, বাপ্পা দা ও দাদু’কে খুঁজে বের করতে কলতানকে করা জেরা প্রয়োজন।” ওদিকে কলতানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাটার্য জানিয়েছেন, কলতান আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁকে বদনাম করার জন্য এমন চক্রান্ত করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, “কলতান নিজে ফোন করেননি। একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। এক্ষেত্রে জামিন অযোগ্য ধারার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অথচ যে ফোন করল তাঁকে জামিনযোগ্য ধারা দেওয়া হল।” জানা যাচ্ছে, আজকের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। তবে আজ সন্ধে সাতটা নাগাদ মামলার রায় দিতে পারেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।