Ration Scam: ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয় বললেন ‘কে অভিষেক ? ও কি আমাদের লিডার’

ইডি হেফাজতে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি রেশন দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে জেরা করছে ইডি। আদালতের নির্দেশ, মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। নির্দেশ…

ইডি হেফাজতে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি রেশন দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে জেরা করছে ইডি। আদালতের নির্দেশ, মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। নির্দেশ অনুযায়ী জ্যোতিপ্রিয়কে এদিন ফের হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। যাওয়ার পথে তিনি নিজের দলের দ্বিতীয় সর্বচ্চো নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে অস্বীকার করেন। সাংবাদিদের একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেন কে অভিষেক? তাৎপর্যপূর্ণ, এদিনই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে ডেকেছে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

এই জেরা প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মন্ত্রী বলেন কে অভিষেক? সাংবাদিকরা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধায়কে ইডি ডেকেছে? এবার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেন কে অভিষেক? আমাদের লিডার? সাংবাদিকরা বলেন হ্যাঁ। এবার সরাসরি অভিষেক প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান রেশন দুর্নীতিতে হেফাজতে থাকা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

হাসপাতালে যাওয়ার পথে এদিন জ্যোতিপ্রিয়কে সুস্থ দেখা গেছে। তিনি বলেন, কোর্টে পরবর্তী হাজিরার দিনে বুঝতে পারবেন। আমি অত্যন্ত ক্লিয়ার। নিজেকে ফের নির্দোষ দাবি করেন জ্যোতিপ্রি়য়। তবে রেশন দুর্নীতির তদন্তে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন, এই দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুরকে চিনতাম। দফতরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকা লেনদেন চলত, জানতাম। মন্ত্রীর নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে ডিরেকটরের পদে বসাই।

ইতিমধ্যেই বাকিবুর ঘনিষ্ঠ একাধিক মিল মালিকদের জের করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইডির দাবি কালো টাকা সাদা করার রাস্তা বাতলে দিতেন মন্ত্রী নিজেই। রেশন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা ও তার ডাইরি থেকে বিস্তর তথ্য মিলেছে বলে ইডির দাবি।

জ্যোতিপ্রিয় এর আগে দাবি করেছিলেন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সবটাই জানেন। বলেছিলেন আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আর চার দিন পরই তিনি মুক্ত হয়ে যাবেন। তবে মুক্ত হননি। আত্মবিশ্বাস আজও দেখা গেল তার গলায়। গাড়ি থেকে মুখ বের করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বললেন, “আমি সমস্ত ব্যাপারে নির্দোষ জেনে রাখুন। ১৩ তারিখ যখন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে তখন বুঝে যাবেন। আমি কোনও অন্যায় করিনি।”