Jyotipriya Mallick: জানা যাচ্ছে ‘নিউরো প্রবলেম’ জ্যোতিপ্রিয়র, তবে কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন!

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সেই এসএসকেএম- হাসপাতালেই ভর্তি হলেন বালু। বিরোধীরা বলছেন, পুরনো ট্রেন্ডই ফলো করছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই মুহূর্তে কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ…

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সেই এসএসকেএম- হাসপাতালেই ভর্তি হলেন বালু। বিরোধীরা বলছেন, পুরনো ট্রেন্ডই ফলো করছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই মুহূর্তে কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হলেও হার্টের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হননি তিনি। নিউরোলজি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন। আর তাকে চিকিৎসার জন্য যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হল, তাতে নেই কার্ডিওলজি বিভাগেরই কোনও চিকিৎসক। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে হার্টের সমস্যা না থাকলেও কার্ডিওলজি বিভাগে কেন ভর্তি?

রেশন দুর্নীতির তদন্তে ধৃত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগেই দাবি করেছেন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এও বলেছিলেন, আমি মারা যেতে পারি। প্রেসিডেন্সি জেলে তিনি মন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ দাবি করেন। তবে জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বিচারাধীন বন্দির যা প্রাপ্য তাই দেওয়া হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে হৃদরোগ সমস্যা নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে বিতর্ক বাড়ছে|

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অসুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কারণ তিনি অসুস্থতা বোধ করে চিকিৎসা করাতে এলেন কার্ডিওলজি বিভাগে। সেখানে এমার্জেন্সিতে আড়াই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকলেন, বেডও পেলেন সেখানে। অথচ তার চিকিৎসায় যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হল, সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগের কোনও চিকিৎসকই নেই। কার্ডিওলজির তত্ত্বাবধানে তিনি নেই।

কেন নিউরো মেডিসিনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হলেন?

জানা যাচ্ছে, এমার্জেন্সিতে আড়াই ঘণ্টা যখন পর্যবেক্ষণে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তার একাধিক পরীক্ষা করানো হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের ডাক পড়ে। তারা বলেন, বুকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সেরকম কোনও সমস্যা নেই। এরপর ডাক পড়ে নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের। কারণ তার আগে মন্ত্রী একবার বলেছিলেন, তার বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এরপর ঠিক হয় নিউরোলজি মেডিসিনের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হবেন তিনি। কিন্তু কার্ডিওলজি ব্লকের পাঁচ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন জ্যোতিপ্রিয়। হাসপাতালের বক্তব্য, আর কোথাও বেড ছিল না। কার্ডিওলজি বিভাগেই বেড ফাঁকা ছিল। রাজ্যের মন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতায় সরকারি হাসপাতালে কি সংশ্লিষ্ট বিভাগে বেডের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না? উঠছে প্রশ্ন।