Mamata Banerjee: বর্ধমানে মমতার উন্নয়ন তালিকা, বিচারপতি গাঙ্গুলি বললেন রাজ্যটা ‘দুর্নীতিগ্রস্তের আখড়া’

লোকসভা ভোটের আগে বুধবার থেকে রাজ্য সফরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সফরের প্রথম সূচিতে প্রথমেই পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর বর্ধমান…

Abhijit Ganguly

লোকসভা ভোটের আগে বুধবার থেকে রাজ্য সফরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সফরের প্রথম সূচিতে প্রথমেই পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর বর্ধমান থেকে তিনি উন্নয়ন তালিকা দিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য খেল ধাক্কা। এবার রাজ্যে মেডিকেল কলেজ ভর্তি দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলী।

বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলী বলেন, ‘‘মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্ত করবে সিবিআই। এই ঘটনায় যদি কোনও আর্থিক দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে তাও সামনে আসা দরকার।’’

   

তিনি সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘শাহজাহানকে আপনাদের পুলিশকে গ্রেফতার করতে পেরেছে? রাজ্যটা দিনে দিনে কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্তের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। অথচ এত কিছুর পরেও পুলিশের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়ছে না। এ রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষের উপর তাই এই আদালতের কোনও আস্থা নেই। দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার তাই সিবিআইকেই দেওয়া যথাযথ মনে করছে আদালত। ’’

বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যারা দুয়ারে সরকার এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন তাদের ৬টি প্রকল্পে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুবিধা দেওয়া হবে। ১৩ লাখ মহিলা নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন ৯ লাখ মানুষ বার্ধক্যভাতা পাবেন, ৭ হাজার মানুষ মানবিক ভাতা পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সংযুক্ত করা হবে আরও ১০ লাখ। অর্থাৎ ৮৫ লাখ থেকে সংখ্যাটা ৯৫ লাখ হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমি সেঞ্চুরি দেখতে চাই।’

মমতার ঘোষণার সময় প্রবল করতালি শুরু হয়। ঠিক সেই মুহূর্তেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সংবাদ আসে, রাজ্যে মেডিকেল কলেজে ভর্তির দুর্নীতর তদন্ত আদালতের নির্দেশে সিবিআই শুরু করছে।

রাজ্যে বাম জমানার পর তৃণমূল জমানা চলছে। মমতা তিনবারের টানা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শাসনে রাজ্যে শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতিতে খোদ শিক্ষামন্ত্রীকে জেলে যেতে হয়। তিনি এখন প্রাক্তন মন্ত্রী। এরপর রেশন দুর্নীতির তদন্তে জেলে যান আরও এক মন্ত্রী। চাপে পড়ে তাকেও মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করেছেন মমতা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কেন অধরা সে বিষয়ে বিচারপতি গাঙ্গুলি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন রাখেন। আইনজীবী জানাতে পারেননি কিছু।