আজ নবান্নে বৈঠক করেননি আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি মেনে করা হয়নি লাইভ সম্প্রচার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেননি তারা। ইতিমধ্যেই বাসে করে স্বাস্থ্যভবনে ফিরে গেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
সেখানে গিয়ে তারা সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, ”লাইভ সম্প্রচারের জন্য অসুবিধা কোথায়? চারাগাছ বিতরণের সময় যদি লাইভ সম্প্রচার করা যায়, তবে আমাদের বৈঠকের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?” মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা বলেন, “উনি ৩দিন অপেক্ষা করেছেন। আমরা ৩৬ দিন ধরে অপেক্ষা করেই যাচ্ছি। লাইভ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ওনার ভয়টা কিসের? এর আগে যেই মেলটা আমাদের পাঠানো হয়েছিল সেখানে উল্লেখ করা হয়নি যে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে থাকবেন।”
প্রেসিডেন্সিতে সন্দীপ, শুনেও নিরুত্তাপ সঞ্জয়…
এই আবহে চিকিৎসকেরা আরও দাবি করেছেন যে এই মুহূর্তে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশাই প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন যে তারা আরও ৩৩ দিন আন্দোলন করার জন্য রাজপথে বসে থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, আজ আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বসার কথা ছিল। সেইমতো নবান্নে গিয়েওছিলেন হবু ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। কিন্তু ইমেলে লেখা চারটি শর্ত অনুযায়ী লাইভ সম্প্রচার না হওয়ায় তাঁরা বৈঠকে যোগ দেননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ‘বয়কট’ করলেন রাজ্যপাল, বাংলায় শোরগোল
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে সুপ্রিম কোর্ট লাইভ সম্প্রচার করতে পারে কিন্তু রাজ্য সরকার তা পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা চাইলে ভিডিও রেকর্ডিং জমা দিতাম। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, তিন দিনেও সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। ক্ষমা করলাম ডাক্তারদের।” রাজ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে ২৭ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আপনারা কাজে যোগ দিন। এটুকুই আবেদন আমার।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন যে এই বৈঠক যদি ইতিবাচক হলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করা হত।