রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন স্থগিত, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বড় পদক্ষেপ

রাজ্য বিজেপির সমস্ত স্তরের সাংগঠনিক নির্বাচন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সংগঠনের বুথ, মণ্ডল এবং জেলা স্তরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত…

BJP Workers' Bus Vandalized in Cooch Behar on Way to PM Modi's Rally

রাজ্য বিজেপির সমস্ত স্তরের সাংগঠনিক নির্বাচন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সংগঠনের বুথ, মণ্ডল এবং জেলা স্তরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে সমস্ত নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলিও বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisements

এমন সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে সাংগঠনিক নির্বাচনে একদলীয় পছন্দের লোককে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে, এবং যেহেতু বিভিন্ন জেলা থেকে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

   

প্রাথমিকভাবে মণ্ডল স্তরের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে, কিন্তু পাশাপাশি জেলা স্তরের নির্বাচনের ফলও স্থগিত হয়ে যাবে। জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটির নির্বাচনও আপাতত বিলম্বিত করা হবে। ফলে এই সিদ্ধান্তে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আসবে এবং একটি অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। তাছাড়া, এখন থেকে কোন কমিটির নাম ঘোষণা হবে না, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে, সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার জন্য নিতান্তই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং অস্বচ্ছতা দূর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখার বিষয় হবে।

সাংগঠনিক নির্বাচনের এই স্থগিতকরণের কারণে, দলের কর্মীরা এবং সাধারণ সমর্থকরা কিছুটা হতাশ। বিশেষত, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিলেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় ধরনের অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে দলের ভেতরেও বিভাজন এবং অস্থিরতা বাড়তে পারে, যা দলের জন্য ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

অপরদিকে, এই সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শক্তি ও সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্ব দেওয়া নির্দেশের একরকম প্রতিফলন। এখন পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির কোনও নেতা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেননি, তবে রাজ্য নেতাদের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে।