জয়নগরে বিজেপির থানা ঘেরাও অভিযানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি

কুলতলিতে বিজেরির থানা ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার৷ বিজেপির নেতৃত্বে হাতাহাতিতে জড়িয়ে গেল পুলিশ৷ বিজেপির জমায়েত থেকে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোাগ তোলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷ রবিবার…

fffmk জয়নগরে বিজেপির থানা ঘেরাও অভিযানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি

কুলতলিতে বিজেরির থানা ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার৷ বিজেপির নেতৃত্বে হাতাহাতিতে জড়িয়ে গেল পুলিশ৷ বিজেপির জমায়েত থেকে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোাগ তোলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷ রবিবার নাবালিকা হত্যার ঘটনায় কুলতলি থানা ঘেরাওর ডাক দেয় বিজেপি৷ এদিন সকালে থানার অদূরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে বিজেরির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল কেয়া ঘোষ সহ অন্যান্য রাজ্য নেতারা৷

বিজেপির ঘেরাও অভিযান রুখতে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ৷ এরপরই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি ও বচসা শুরু হয়ে যায়৷ প্রসঙ্গত,শুক্রবার দুপুরে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলেও কোচিং থেকে আর বাড়ি ফেরেনি চতুর্থ শ্রেণির সেই ছাত্রী। এরপর নিজেদের সন্তানের খোঁজ না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ প্রথমে তাঁদের কথায় কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁদের বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে। পরিবারের দাবি, অভিযোগের কথা শুনেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত।

   

জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই পুকুর থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় নিহত শিশুটির দেহ। তবে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তরুণ জয়নগরের বাসিন্দা। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবির কথা জানিয়েছে পরিবার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আজ সকালে উত্তেজনা ছড়ায় মহিষমারি এলাকায়। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। সকালে লাঠি, ঝাঁটা হাতে পুলিশকে তাড়া করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়েন গ্রামবাসীরা।