যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইন্দ্রানুজ রায়কে ক্যাম্পাসের মধ্যেই গাড়ি চাপা দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে এমন দাবি তুলেছেন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন ব্রাত্য বসুর গ্রেফতারি চাই।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রীর ভূমিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গরম। তীব্র ক্ষুব্ধ বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তবে ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ি করতে নারাজ ব্রাত্য বসু। তিনি জখম শিক্ষার্থীর মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দু:খ প্রকাশ করে জানান, ইন্দ্রানুজ সুস্থ হলে তার সঙ্গে দেখা করবেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্শালয়সহ রাজ্যের সব কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন চেয়ে এসএফআই ও অন্যান্য বিক্ষোভকারী ছাত্র সংগঠনগুলি মন্ত্রীর দু:খপ্রকাশ ‘নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল’ বলে মনে করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। গোটা ঘটনায় তীব্র বিতর্কে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোুাধ্যায়ের নীরবতায় বিতর্ক বাড়ছে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “পুলিশ যেভাবে আক্রমণ করছে তার থেকেই স্পষ্ট কিছু লুকানোর আছে। একটার পর একটা মিথ্যাচার করার পর মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করার নাটক করছেন।মূল কথা হচ্ছে মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিবাদী ছাত্রদের উপর গাড়ি চালানো হয়েছিল। তাই সেই মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি চাই”
তিনি লিখেছেন, “ব্রাত্য বসুর এত সাহস এল কোথা থেকে! অবশ্য এই ট্রেন্ড তো বিজেপি আগেই দেখিয়েছে। লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়েছিল বিজেপি’র মন্ত্রী। পুলিশের উচিত ছিল তাঁকে টেনে থানায় নিয়ে আসা, তাঁর প্রাইভেট গাড়িটিকে আটক করা। উল্টে ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে নির্লজ্জ পুলিশ।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে বিজেপি ও তৃ়নমূল সংগঠনের সংঘর্ষ হয়েছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল ও বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সামাজিক মাধ্যমে গত বামফ্রন্ট জমানায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সেলিম লিখেছেন, “মমতা ব্যানার্জি জন্মলগ্ন থেকে বলে আসছেন সবই সিপিআই (এম) করেছে, এসএফআই করেছে। উনি আগে বলুন জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ড কারা ঘটিয়েছিল? এত মানুষের প্রাণ কে নিয়েছিল? ব্রাত্য বসু তথাকথিত ভাড়াটেদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। আগে বলুক কে জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে এত মানুষের প্রাণ নিয়েছিল? তারপর বোঝা যাবে ওরা সত্যি কথা বলে নাকি মিথ্যা কথা বলে?