২০২৫ সালের ৩ মার্চ, সোমবার, বাম ছাত্র সংগঠন ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যে আখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) কর্মীরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। যদিও এবিভিপি, যা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন বড় সমর্থক নেই, তবে ওই দিন সংগঠনটি হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে একটি মিছিল নিয়ে পৌঁছায় এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এছাড়াও, এবিভিপি সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গেটে সাফরন পতাকা লাগিয়ে দেয়, যা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে একটি হাতাহাতি সংঘটিত করে। এসএফআই কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধে নামলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এবিভিপি সমর্থকরা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বসে প্রতিবাদ জানিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনার ফলে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র রাজনীতির আরও একটি উদাহরণ, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ক্ষমতার লড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পর্যন্ত পৌঁছেছে। এবিভিপির এই পদক্ষেপ বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এবিভিপি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন সমর্থন লাভ করতে পারেনি, কিন্তু সোমবারের ঘটনাটি রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশে এই ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সহিংস পরিস্থিতি আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।