যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur Univetsity) পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ ব়্যাগিং। তদন্তে এসেছে এই তথ্য। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু এবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করল। তার দাবি, সে এতদিন কাশ্মীরে ছিল। কোনোভাবেই ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে ছিল না। সে আরও জানায়, আপাতত বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে আছে। সামাজিক মাধ্যমে সে এসব বলে।
আলু ফেসবুকে লিখেছে ৯ অগস্ট রাতে আমি যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঢুকিইনি। এমনকী, তার আগের বেশ কিছুকাল আমি হস্টেলে যাইওনি। আমি সেই রাতে কেপিসি হাসপাতালেও গিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে, গোটা অভিযোগটাই অবান্তর। আশা করি, তদন্ত করলে এই কথা সহজেই প্রমাণ হবে। সে আরও জানায়,১০ অগস্ট, বৃহস্পতিবার, আমি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়া দিল্লি রওনা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরি। আমাদের গন্তব্য ছিল কাশ্মীর গ্রেট লেকস।কলকাতার বাইরে বলা ভাল নেটওয়ার্ক পরিষেবার বাইরে থাকায় আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো আমার কাছে পৌঁছয়নি। এই ট্রেকে আমার সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। এবং, যাঁরা এই ট্রেকিং রুটের ব্যাপারে অবহিত, তাঁরা জানেন, এখানে নেটওয়ার্কের বালাই নেই। প্রায় চারমাস আগেই (২২ ও ২৩ এপ্রিল) টিকিট কাটা হয়েছিল ট্রেন ও ফ্লাইটের।
আলু জানায়, আজ মনে হচ্ছে, আমার সেদিন কলকাতা ছাড়া উচিত হয়নি। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে কতখানি আহত, অন্তত তা প্রমাণ করার জন্য আমার থেকে যাওয়া উচিত ছিল এটাও মনে হচ্ছে। কলকাতায় ফিরে আসছি। বাঁশদ্রোণীতে আমার ফ্ল্যাটেই আমাকে পাওয়া যাবে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত সুসম্পন্ন হোক। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক।