“দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য, জাতির মর্যাদায় আঘাত” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

ফের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নাম। শুক্রবার সকালে সোশ‌্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মুখ‌্যমন্ত্রীর নামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের…

irresponsible Remark, an Insult to National Pride: Suvendu Slams Mamata"

ফের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নাম। শুক্রবার সকালে সোশ‌্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মুখ‌্যমন্ত্রীর নামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও একবার প্রমাণ করলেন যে, তিনি শালীনতা, গণতান্ত্রিক সৌজন্য ও সহনশীল যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি আদৌ শ্রদ্ধাশীল নন ।পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গতকাল তিনি যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্র নীতিকে নিয়ে একতরফা, অসংবেদনশীল ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করলেন, তা কেবল রাজনীতির নিম্নতম পর্যায়কেই চিহ্নিত করে না, বরং তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও কূটনৈতিক মর্যাদার প্রতিও এক বিরাট আঘাত।

 শুভেন্দু অধিকারী সোশ‌্যাল মিডিয়ায় ট‌্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্র নীতি সংবিধান অনুযায়ী একান্তভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকারভুক্ত বিষয়। সেখানে একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই নীতিতে অহেতুক হস্তক্ষেপ, তা নিয়ে জনসমক্ষে মনগড়া মন্তব্য করা — এ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলেন যে প্রধানমন্ত্রী “বিদেশিদের পায়ে পড়ছেন” কিংবা “দেশের সম্মান বিক্রি করে দিচ্ছেন”, তখন তিনি কেবল একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর অপমানই করেন না, তিনি গোটা দেশের গৌরব ও মর্যাদাকেও মাটিতে নামিয়ে আনেন।

   

এই ধরনের উস্কানিমূলক ও বেসামাল ভাষা ব্যবহার করে তিনি ভারতের বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। বিগত সময়েও আমরা দেখেছি, তার বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পাকিস্তানি সংবাদচ্যানেলের আলোচনায় উদ্ধৃত হয়েছে, যেখানে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকে না। একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন এমন মন্তব্য করেন যা শত্রু রাষ্ট্রগুলির স্বার্থে যায়, তখন তা নিছক রাজনৈতিক বিরোধিতা নয় — তা ভারতের স্বার্থ ও ঐক্যের বিরুদ্ধে এক বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দেখিয়েছেন যে, নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতা আড়াল করতে তিনি কীভাবে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। রাজ্যে নারী নির্যাতন, শিল্পহীনতা, দুর্নীতি, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলার বিপর্যয় — এসবের কোনো জবাব না দিয়ে তিনি আজ জাতীয় কূটনীতিক নীতির বিষয়ে মিথ্যাচার করে চলেছেন।

Advertisements

ভারত আজ বিশ্বমঞ্চে এক শক্তিশালী ও গর্বিত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে — যেখানে কূটনৈতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও জাতীয় নিরাপত্তা একসাথে সমন্বিতভাবে এগোচ্ছে। সেই আবহে একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলেন, “দেশের সম্মান বিক্রি করে দিচ্ছেন”, তখন তা দেশের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

আমি দৃঢ়ভাবে দাবি জানাচ্ছি যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন অবিলম্বে তাঁর এই অনভিপ্রেত, অশোভন ও অনৈতিক মন্তব্য প্রত্যাহার করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভারতবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রাজনৈতিক মতবিরোধ গণতন্ত্রে স্বাভাবিক, কিন্তু সেই মতবিরোধ যদি দেশের স্বার্থবিরোধী হয়ে ওঠে, তবে তা ক্ষমার অযোগ্য।

দেশের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই, তা তিনি যত বড় পদেই আসীন থাকুন না কেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য গোটা বাংলার মানুষের পক্ষ থেকেও লজ্জাজনক। রাজনীতিকে শালীনতা ও মর্যাদার পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সময় এসেছে। আর তার প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ।