ছবির মাধ্যমে ‘বাঙালির অষ্টোত্তর শতনাম’ চর্চার উদ্যোগ

পয়লা এপ্রিল মানে নতুন আর্থিক বছরের সূচনা ৷ আর নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়া মানেই বাংলা নববর্ষের আর দেরি নেই ৷ বাংলা বছরের একেবারে শেষ…

photography

পয়লা এপ্রিল মানে নতুন আর্থিক বছরের সূচনা ৷ আর নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়া মানেই বাংলা নববর্ষের আর দেরি নেই ৷ বাংলা বছরের একেবারে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এবার নতুন বছরের শুরুতে বাঙালিয়ানা চর্চা ও বাঙালির জাত্যাভিমানকে পুনঃজাগরিত করবার এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ রঙ তুলির ( photography) মাধ্যমে বাঙালির অষ্টোত্তর শতনাম চর্চার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ ক্রমশ ভুলতে বসা বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যকে আঁকা ছবির মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা৷ ফলে এই কর্মকান্ডে বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন বাঙালি আইকনকে ৷

১৪২৮কে বিদায় জানিয়ে নতুন বর্ষ ১৪২৯কে স্বাগত জানাতে ১২ থেকে ২৪ এপ্রিল বিড়লা আকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে আয়োজন করা হয়েছে ‘বাঙালির অষ্টোত্তর শতনাম’-এর৷ শিল্পী শুভেন্দু সরকারের রঙ তুলির আঁচড়ে সাদা ক্যানভাসে তুলে ধরা হচ্ছে এমন একশো আটজন শ্রেষ্ঠ বাঙালির কথা ৷ অবশ্যই তার পাশাপাশি থাকছে ইলাস্ট্রেশন৷ এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন করে তুলে ধরা হবে এই সব বিখ্যাত বঙ্গ সন্তানদের যাতে তাদের প্রতি এই প্রজন্মের বাঙালির আগ্রহ বৃদ্ধি পায়৷

এই সব ব্যক্তিত্বরা অবশ্যই শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, বিজ্ঞান, মঞ্চ, সিনেমা, খেলাধূলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালি জীবনের আইকন স্বরূপ ৷ এই সব কৃতি বঙ্গ সন্তানের জীবনচরিত বাঙালির কাছে সম্পদ ৷ তাঁদেরকেই তুলে ধরা হচ্ছে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে৷ এই সব পূর্বসূরীদের মাধ্যমে বাঙালির পুরনো ঐতিহ্যকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ সেই তালিকায় শুরুতেই যেমন রয়েছে চৈতন্যদেব তেমনই রয়েছে দ্বারকা নাথ ঠাকুর, কালী প্রসন্ন সিংহ, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ উপেন্দ্রকিশোর সুকুমার রায়েরা ৷ আবার রয়েছেন এ যুগের সোমিত্র চট্টোপাধ্যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় রবি ঘোষ প্রমুখেরাও ৷

তাছাড়া এই প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে ১৬ এপ্রিল সন্ধেবেলায় ‘বঙ্গে রঙ্গে রাই কানু’ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে পুরাতনী বাংলা গান ও কীর্তন নিয়ে আলোচনা ও সঙ্গীত পরিবেশন হবে ৷ এর পাশাপাশি ২২ এপ্রিল বিকেলে ওই একশো আটজন বিখ্যাত বাঙালির জীবনকথা গল্পের ছলে এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবেন সাংবাদিক ও লেখক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ৷