অগাস্টেই শিয়ালদহ-রানাঘাট রুটে চালু হচ্ছে পূর্ব ভারতের প্রথম এসি লোকাল, জেনে নিন কবে

কলকাতা: বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হল উদ্বোধনের দিন। আগামী ১০ অগাস্ট শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় চালু হতে চলেছে পূর্ব ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এসি লোকাল…

কলকাতা: বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হল উদ্বোধনের দিন। আগামী ১০ অগাস্ট শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় চালু হতে চলেছে পূর্ব ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এসি লোকাল ট্রেন (Indias First AC Local: অগাস্টেই শিয়ালদহ-রানাঘাট রুটে চালু হচ্ছে পূর্ব ভারতের প্রথম এসি লোকাল, জেনে নিন কবে)। শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে খবর, বড় কোনও রদবদল না হলে ওই দিনই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে এই অভিনব পরিষেবার।

Advertisements

এই ট্রেনের সূচনা করবেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী – সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজ্যের পরিবহণ পরিকাঠামোয় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন পালক। সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও আধুনিক করতে এক নতুন পদক্ষেপ এটি।

   

আগেই জানা গিয়েছিল, গোটা লোকাল ট্রেনটি সম্পূর্ণরূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (AC) থাকবে। প্রতিটি কোচেই থাকবে উন্নতমানের কুলিং ব্যবস্থা, যা গ্রীষ্মকালে যাত্রীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস দেবে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি কোচ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল, ফলে ট্রেনের মজবুতিও অনেক বেশি।

এই এসি লোকাল ট্রেনটিতে থাকবে ১২টি কোচ, যা আগের লোকাল ট্রেনগুলির তুলনায় অনেক বেশি ছড়ানো। যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও তুলনামূলকভাবে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনের ডিজাইন এমনভাবেই করা হয়েছে যাতে বেশি যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারেন কোনো সমস্যা ছাড়াই।

প্রতিটি কোচের মধ্যে সংযোগ থাকবে ভেস্টিবুলার গ্যাংওয়ে দিয়ে, যা সাধারণত দূরপাল্লার ট্রেনে দেখা যায়। এর ফলে চলন্ত ট্রেনেই এক কোচ থেকে অন্য কোচে অনায়াসে যাতায়াত করা যাবে, যেটা এক দারুণ সুবিধা।

এই ট্রেনের প্রতিটি কোচেই থাকবে অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর। এইসব দরজার নিয়ন্ত্রণ থাকবে চালকের হাতে, অর্থাৎ যাত্রী নিরাপত্তার দিকেও রাখা হয়েছে বিশেষ নজর। পাশাপাশি জানালা থাকছে ডাবল সিল করা কাচের, যা শব্দ এবং তাপ প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

পূর্ব রেলের এই নতুন পদক্ষেপ যাত্রীদের যাতায়াতে এক আমূল পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা। শহরতলি রুটে কাজের চাপে প্রতিদিন নাজেহাল হন বহু যাত্রী। সেখানে এই ধরনের এসি লোকাল তাদের আরাম ও নিরাপত্তার সঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছনোর সুযোগ দেবে।

এই এসি ট্রেনের সময়সূচী, টিকিট ব্যবস্থা এবং চলাচলের ফ্রিকোয়েন্সি কেমন হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ট্রায়াল রানের পর সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই রেল সূত্রে জানা গেছে।

একদিকে যেমন উন্নত মানের যাত্রা, অন্যদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই এসি লোকাল। কলকাতা এবং আশেপাশের শহরতলির মানুষের কাছে এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল ট্রেন যে রোজকার কর্মব্যস্ত জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তির পরশ এনে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।