বোধনের আগেই কলকাতার (Kolkata) রাজপথে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। মহাপঞ্চমীর রাতে মানুষের ঢল নেমেছিল মণ্ডপে মণ্ডপে। এবার মহাষষ্ঠীতে জনস্রোতের সম্ভাবনা। এমনটাই অনুমান করতে কলকাতা পুলিশ।শনিবার সকাল থেকেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন লালবাজারের আধিকারিকরা।
বয়সের বেড়াজাল ভেঙে পুজোর আনন্দে মাতোয়াড়া শহর কলকাতা এবং জেলা থেকে আসা মানুষ।ভিড় এড়িয়ে কী ভাবে মণ্ডপে পৌঁছে যাওয়া যাবে, তা নিয়েও বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
বাঙালিরা চিরকালই আগেব প্রবন। আর দুর্গাপুজো বাঙালীর অন্যতম আবেগ। গত ২ বছর করোনার কারনে বাড়িতেই পুজো কাটাতে হয়েছিল বাঙালিকে। তাই গত ২ বছরের প্যান্ডেল হপিং এই বছরেই মেটাতে চাইছে বাঙালিরা। মহা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মায়ের দর্শনে বেড়িয়ে পড়েছেন প্রতিটা বাঙালিই ।
উত্তর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো- কলেজ স্কোয়্যার। আলো-প্রতিমা-জলাশয় এই তিন বিশেষত্ব বরাবরই পৃথক পরিচিতি দিয়ে এসেছে এই পুজোকে। কোনও প্রচার ছাড়াই বছরের পর বছর মানুষ আসেন এই মন্ডপে, এবারও ব্যতিক্রম নয় । তবে থিমের পুজোর জনপ্রিয়তার মধ্যেও, বাগবাজার সার্বজনীনের জনস্রোত অন্যান্য বারের মতোই এবারও একই রকম। সাবেকি সাজের মাতৃ প্রতিমা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
শহরের ছোট-বড় সব মন্ডপেই মানুষের ভিড়। উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে বড় পুজোগুলিতে রীতিমতো জনজোয়ার ।