আরজি কর কাণ্ড: প্রতিবাদে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা! কী কী দাবি আইএমএ-র?

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জের। শনিবার দেশজুড়ে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। মূলত চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ…

IMA presents list of demands amid nationwide protests against RG Kar case

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জের। শনিবার দেশজুড়ে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। মূলত চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। চিকিত্সকরা এর আগে ভয়ঙ্কর ঘটনার পরও তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিল, কিন্তু ১৪ অগস্ট গভীর রাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময় অজ্ঞাতপরিচয় লোকেরা আরজি কর মেডিকেল কলেজে যে তাণ্ডবলীলা, ভাঙচুর চালিয়েছিল তারপর কঠোর সিদ্ধান্তে অবিচল চিকিৎসকরা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএর-র তরফে জানানো হয়েছে যে, চিকিৎসকরা শনিবার ২৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে জরুরী বিভাগে কাজ হবে। ওপিডি চালু হবে না। কোন শল্য চিকিৎসা হবে না। সমগঠনের দাবির তালিকায়, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আরও বলেছে যে হাসপাতালের নিরাপত্তা বিষয়টিও “বিমানবন্দরের চেয়ে কম নয়”।

   

ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে কেন আগেই জেরা নয়? পুলিশ কমিশনার বললেন…

আইএমএ-র দাবি, “হাসপাতালগুলিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা প্রথম পদক্ষেপ। সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন এবং প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।” সমিতি এই জঘন্য অপরাধের সময়োপযোগী ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

গত ৯ অগস্ট, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে ৩১ বছর বয়সী একজন স্নাতকোত্তর মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে যৌন নির্যাতনের লক্ষণ দেখা যায়। ওই মহিলাকে একাধিকবার আঘাতকরা হয়েছিল, তার চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাত হয়েছিল এবং তার পেলভিক ভেঙে গিয়েছিল। এরপরই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দেশজুড়ে চলতে থাকে প্রতিবাদ। তার মাঝেই ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করা হয় গত বুধবার রাতে। কিন্তু তার মাঝেই আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। আতঙ্কে কুঁকড়ে যান চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মীরা। মাধর খায় পুলিশও। এরপরই ফের কর্মবিরতির ডাক দেয় চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।