বালুর মেরুণ ডায়েরির পর্যন্ত নোটবুকে বিপুল লেনদেন হদিস

মেরুন ডায়েরির পর এবার নোটবুক ঘিরে রহস্য! সূত্রের খবর উদ্ধার হওয়া নোটবুকেও লক্ষাধিক টাকার লেনদেনের উল্লেখ। বালুর প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের বাড়িতে উদ্ধার নোটবুক। এই নোটবুকেই রয়েছে…

মেরুন ডায়েরির পর এবার নোটবুক ঘিরে রহস্য! সূত্রের খবর উদ্ধার হওয়া নোটবুকেও লক্ষাধিক টাকার লেনদেনের উল্লেখ। বালুর প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের বাড়িতে উদ্ধার নোটবুক। এই নোটবুকেই রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী নামের উল্লেখ।

জানা যাচ্ছে যে ৩ টি নোটবুক পাওয়া গিয়েছে যেখানে একাধিক ট্র্যান্সাকশনের উল্লেখ রয়েছে। সেই লেনদেন নিয়েই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের মধ্যে। প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কে অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরির পরে যে ৩ টি নোটবুক উদ্ধার হয়েছে তা ঘিরে যথেষ্ট রহস্যের ডানা বেঁধেছে। বিভিন্ন নাম উল্লেখ রয়েছে। কার কার নাম বা তারা কোথায় থাকেন, তাদের সঙ্গে ঠিক কী কারণে লেনদেন, এই সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করছে ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। মূলত নোটবুকে যাদের নাম লেখা রয়েছে তারা কারা, কীভাবে রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত ছিল, তারা কী ধরণের সুবিধা নিতে এই টাকা দিয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে ইডি-র আধিকারিকরা।

বাকিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার পরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন যে তিনি বাকিবুর রহমানকে চেনেন না। কিন্তু তারপর থেকেই তদন্ত আধিকারিকরা কার্যত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন তিনি বাকিবুরের থেকে সুবিধা পেয়েছেন এবং বাকিবুরকে সুবিধা দিয়েছেন।

নোটবুকে উল্লেখ করা এই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে কি রেশন দুর্নীতির কোন যোগ রয়েছে? এর উত্তর খুঁজতেই তদন্তকারী আধিকারিকরা মরিয়া। রেশন দুর্নীতি যে হয়েছে তা স্পষ্ট। টাকার বিনিময়ে যে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তা কার্যত স্পষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই টাকার একাধিক লেনদেন উল্লেখ রয়েছে এই নোটবুকে। এছাড়াও বিমার যে প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছিল সেটার কথাও উল্লেখ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।