হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ১৭০০টি পরামর্শ জমা ‘সুপ্রিম’ গঠিত টাস্ক ফোর্সে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গঠিত হয়েছিল জাতীয় টাস্ক ফোর্স (National Task Force)। এর জন্য ‘সাজেশনস টু এনটিএফ’ নামে একটি পোর্টালে এই বিষয়ে…

Again, a Slip Petition in the Supreme Court, Hearing to Be Held in the Afternoon Instead of Morning on Wednesday

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গঠিত হয়েছিল জাতীয় টাস্ক ফোর্স (National Task Force)। এর জন্য ‘সাজেশনস টু এনটিএফ’ নামে একটি পোর্টালে এই বিষয়ে মতামত প্রদর্শনের একটি জায়গা তৈরী করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার সেই পোর্টালে কতগুলি পরামর্শ জমা পড়েছে সেই তথ্য সামনে এল। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনা সামনে আসার পর বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এমনকি এমন আবহে অনেক হাসপাতাল থেকে ‘থ্রেট কালচার’-এর মতো নানান অভিযোগও সামনে আসছে। এর মধ্যে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরেই হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নিরাপত্তা কাঠামো ঠিক করে সাজাতে টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়।

   

বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছিল টাস্ক ফোর্স মূলত দু’টি বিষয়ে কাজ করবে। প্রথমটি হল, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের উপর হিংসা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করা। আর দ্বিতীয়টি হল, হাসপাতালের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি প্রোটোকল বা নিয়মবিধি তৈরি করা।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি টাস্ক ফোর্স হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি যেমন তদারকি করবে তেমনি কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রুখতে যে আইন, তা সরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও কার্যকর হচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর দেশের হাসপাতালগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তার ঠিক কী অবস্থা তা জানতে এই বিষয়ে সকলের মতামত এবং পরামর্শ নিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিজেদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে ‘সাজেশনস টু এনটিএফ’ নামে একটি পোর্টাল যুক্ত করেছিল। এই পোর্টাল চালু করা হয়েছিল ২২ অগস্ট। এরপর দু’মাস পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই পোর্টালের মাধ্যমে মোট ১৭০০টি মতামত এবং পরামর্শ এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডার মন্ত্রকের কাছে।

১৭০০টি মতামত এবং পরামর্শের মধ্যে ৩৭টি মতামত পাঠিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালও রয়েছে। আর বাকি ১৫০০টি মতামত পাঠিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ঠিক করা হয়েছিল ব্যক্তিবিশেষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সকলেই তাঁদের পরামর্শ টাস্ক ফোর্সের জন্য নথিভুক্ত করতে পারবেন। তারপর সেসব পরামর্শ নিয়ে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।