High Court: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: কসবা ল কলেজের নারকীয় ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি…

High-Court order for 100 days work

কলকাতা: কসবা ল কলেজের নারকীয় ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, অবিলম্বে চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম।

এই বিষয়ে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের (High Court) রায় অনুযায়ী, ইউনিয়ন রুম ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে হলে প্রিন্সিপাল বা রেজিস্ট্রারের লিখিত অনুমতি বাধ্যতামূলক। এবং সেই অনুমতির কপি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করতে হবে।

   

কী বলেছে আদালত (High Court)?

ইউনিয়ন রুম শুধুমাত্র অফিসিয়াল বা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি পাবে।

রিক্রিয়েশন বা অন্যান্য অপ্রাসঙ্গিক কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না।

১৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

Advertisements

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই নির্দেশ এসেছে কসবা ল কলেজের ধর্ষণ কাণ্ড ঘিরে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়। সেই মামলাতেই আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কলেজকেও হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযোগ, কলেজের ইউনিয়ন রুমেই নির্যাতিতা ছাত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর থেকেই ইউনিয়ন রুমগুলির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে অভিভাবক ও সমাজের একাংশ।

নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, তারা সিবিআই তদন্ত চায় না, বরং কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) উপর তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই গোটা তদন্তভার SIT-এর হাত থেকে তুলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুমগুলি অনেক সময়েই ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এই ঘটনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ স্পষ্ট করে দিল— ছাত্র রাজনীতি বা রিক্রিয়েশন নয়, শিক্ষার পরিবেশে গা-ছাড়া মনোভাব বরদাস্ত করবে না আদালত।

হাইকোর্টের এই নির্দেশ একদিকে যেমন কলেজ ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদারের বার্তা দেয়, অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলে। ১৭ জুলাইয়ের শুনানিতে এই বিষয়ে আরও কঠোর পর্যবেক্ষণ আসতে পারে বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কসবা কাণ্ডের রেশে এই নির্দেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা আনতে বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।