লৌহ কপাট সরে কার্নিভালের অনুমতি মিলল ‘দ্রোহ’-এর, অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার

ফের কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল মমতার সরকার। এবার রানি রাসমণি রোডে মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি রবি…

Iron gate opens, permission granted for the 'Carnival of Protest,' state government in discomfort.

ফের কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল মমতার সরকার। এবার রানি রাসমণি রোডে মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি রবি কিষাণ কপূরের বেঞ্চে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। এদিন প্রথমে রাজ্যের আইনজীবী বিচারপতিকে বলেন, মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ পুজোর কার্নিভাল যে রয়েছে তা রাজ্যের সকলেই জানেন।

অপরদিকে চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, রেড রোড থেকে দূরেই তাঁরা আজকের কর্মসূচি করছেন। এরপরেই রানি রাসমণি রোডে কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। সেইসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী এও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দ্রোহ কার্নিভাল আয়োজন করতে চেয়ে ১১ অক্টোবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

   

রেড রোডে কার্নিভালের আগেই শহর ছাড়লেন ‘মহারাজ’, কারণ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

কিন্তু এরপরেই দ্রোহের কার্নিভাল অন্যকোন দিন আয়োজন করার দাবি তোলেন রাজ্যের আইনজীবী। তাঁর কথায়, “বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে (পুজোর) কার্নিভাল শুরু হবে। যথাযথ কারণেই জন্য ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। অন্যকোনও দিন কর্মসূচি করা হোক।” এর পাশাপাশি আগামিকাল এই প্রতিবাদী কর্মসূচি করার প্রস্তাব দেন রাজ্যের আইনজীবী। এরপর বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, একসঙ্গে দু’টি কর্মসূচি করলে সেক্ষেত্রে কী শর্ত দেবে রাজ্য?

এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বিচারপতির উদ্দেশ্যে বলেন, ডাক্তারদের কর্মসূচি হলে উত্তর কলকাতার অনেক পুজো কমিটির রেড রোডে পৌঁছতে সমস্যা হবে। এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, “ডাক্তারেরা গুন্ডা নন। আমি নিশ্চিত করে বলছি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে। পুলিশ বলতে পারে না আমি কোন দিন কর্মসূচি করব। রানি রাসমণি রোডে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তারা আটকে রাখুক।”

কলকাতা ডার্বির অফলাইন অনলাইন টিকিট আপডেট, কবে কোথা পাওয়া যাবে বিস্তারিত জানুন

এরপরও রাজ্যের আইনজীবী আর্জি জানিয়ে বলেন, যাতে অন্যদিন দ্রোহের কার্নিভাল করা হয়। তারপরেই হাই কোর্টের বিচারপতি ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’-দের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করার অনুমতি দেন। সেইসঙ্গে রবি কিষাণ কপূরের বেঞ্চ জানিয়েছেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। আদালত বার বার এই নির্দেশ দিয়েছে।” তিনি রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের মাঝে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।

তবে এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারা জারির নির্দেশিকাও খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশের পর রাস্তার ওপর থেকে সরানো হয় লৌহকপাট। তড়িঘড়ি সরানো হয় গার্ডরেল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাক দিয়েছিল জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্‌স। বিকেল ৪টে থেকে রানি রাসমনিতে জমায়েত করার কথা বলা হয়েছিল।

সামনের বছর এমাসেই চালু হচ্ছে BSNL 5G পরিষেবা, ‘কালজয়ী’ ঘোষণা সরকারের

কিন্তু তার আগেই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে কলকাতা পুলিশ। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্‌স। এবার সেই মামলারই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই হাই কোর্টের রায়তে খুশি চিকিৎসক থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ।