Bay of Bengal: বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি নিম্নচাপে ডিসেম্বরের শুরুতেই বাংলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: চলতি বছরে বৃষ্টি যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। এবার বৃষ্টির অন্যতম কারণ নিম্নচাপ (Depression)। সোমবার মৌসম ভবন (Mousom Bhaban) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের…

low pressure in the Bay of Bengal

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: চলতি বছরে বৃষ্টি যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। এবার বৃষ্টির অন্যতম কারণ নিম্নচাপ (Depression)। সোমবার মৌসম ভবন (Mousom Bhaban) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) বুকে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। ডিসেম্বর (December) শুরুতেই এই নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হবে। যার প্রভাব পড়বে গুজরাত, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশা, ও পশ্চিমবঙ্গে।

সোমবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরের বুকে সোমবার থেকেই এই নিম্নচাপটি ঘনীভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই যা ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হবে। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি শক্তিশালী আকার নিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার গুজরাত এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হওয়া। ১ ডিসেম্বর থেকে এই হওয়ার গতিবেগ আরও বাড়বে।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণাবর্তের জেরে মঙ্গল ও বুধবার গুজরাতের একাধিক জেলায় অতিভারী বৃষ্টি হবে। এ জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় মঙ্গলবারের জন্য কমলা সর্তকতা এবং বুধবারের জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন তার সতর্কবার্তায় গুজরাত উপকূলে মৎস্যজীবীদের ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রের না যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধপ্রদেশ এবং উড়িশাতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন তাদের সতর্কবার্তায় প্রতিটি রাজ্যের কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সাধারণত প্রতি বছরই অক্টোবর, নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা যায়। তবে এবার তেমন কোনও ঘূর্ণি ঝড় দেখা যায়নি। দেখা গিয়েছে একের পর এক নিম্নচাপ।

মৌসম ভবনের এই সতর্কবার্তায় ভাঁজ পড়েছে বাংলার কৃষকদের কপালে। কারণ আমন ধান উঠার পর এখন চলছে আলু বীজ বসানোর ভরা মরসুম। কিন্তু এই মুহুর্তে যদি নতুন করে আবার বৃষ্টিপাত হয় তবে আলু বসানোর কাজ অনেকটাই পিছিয়ে যাবে। এমনিতেই অক্টোবরের প্রবল বৃষ্টিতে ধান ও আলু চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ডিসেম্বরে যদি ফের বৃষ্টি হয় তবে কৃষকদের ক্ষতি আরও বাড়বে। তাই মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বাংলার চাষীদের এক অজানা আশঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। কারণ আলু চাষ করতে দেরি হলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে তেমনি কমবে ফলনও।