Anis Khan Murder: আনিস খান ‘খুন’ মামলায় সিট তদন্তেই হাইকোর্টের প্রশ্ন

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আনিসের পরিবারের তরফে বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করা…

Anis Khan Murder: আনিস খান 'খুন' মামলায় সিট তদন্তেই হাইকোর্টের প্রশ্ন

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আনিসের পরিবারের তরফে বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হলেও আদালতের তরফে সেই নির্দেশ এখনও মেলেনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিট-কে।

সিটের উদ্দেশ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার প্রশ্ন, ‘পুলিশকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে উঠে কী দেখলেন? রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন? আনিস যদি পালাতে গিয়ে পড়ে যায়, তা হলে কীভাবে ৩০৪এ ধারা প্রযোজ্য হবে? পালাতে গিয়ে পড়ে গেলে পুলিশ কেন দায়ী হবে? আনিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে ৪১এ নোটিস পাঠানো প্রয়োজন ছিল। সেই নোটিস পাঠানো হয়েছে কী? আনিসের বাড়িতে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তদন্ত করে দেখা হয়েছে?’ প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয় সিট।

১৯ তারিখ আনিস খানের হত্যার ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮২ পাতার রিপোর্ট মুখবন্ধ একটি খামে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হয়। আনিসকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্টে খামতির অভিযোগ তুললেন মামলাকারী আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ আত্মহত্যা বলে চেষ্টা করছে রাজ্য।

Advertisements

গত ১৯ তারিখ রাজ্যের তরফে ৮২ পাতার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রিপোর্টের প্রতিলিপি দেওয়া হবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। বিচারপতির নির্দেশ তিনি রিপোর্টের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। এদিন আদালতের কাছে আইনজীবী জানিয়েছেন, রিপোর্টে তাঁরা খুশি নন। কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

আদালতের কাছে তিনি জানান, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। অন্য সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। এদিন হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কী কী খামতি রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। সেই মামলার শুনানি চলছে এদিন।