নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তবর্তী এলাকা সিঙ্ঘুতে যেখানে কৃষকরা এক বছর ধরে আন্দোলন করছেন সেখানে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। কৃষকদের আটকাতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করেছে। সেই ব্যারিকেড থেকেই ঝুলছিল যুবকের দেহ। তার দুটি হাত ও পা কাটা ছিল। গোটা এলাকার ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। শুক্রবার সকালে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে সকলেই চমকে উঠেছেন।
গুজব ওঠে, ওই যুবক কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেকারণেই পুলিশ তাকে নির্মমভাবে খুন করেছে। হরিয়ানা ও দিল্লি দুই রাজ্যেই এই খুনের কথা ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন।
কিন্তু প্রাথমিক খোঁজখবর করে জানা যায়, ওই যুবক কৃষকদের আন্দোলনে ছিলেন না। তাই কে বা কারা ওই যুবককে এমন নৃশংসভাবে খুন করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম ঠিকানা বা পরিচয় কিছুই এখনও জানা যায়নি
সোনিপত জেলার পুলিশ সুপার বলেছেন, শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সেনিপথের কুন্ডিতে যেখানে কৃষকরা আন্দোলন করছেন সেখানকার ব্যারিকেডে হাত কাটা এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কে বা কারা এই কাজ করেছে। কী কারণে ওই যুবককে তালিবানের মত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাও জানা যায়নি। তাই অচেনা কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই যুবককে কুন্ডিতেই খুন করা হয়েছে, না অন্য কোথাও খুন করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ওই যুবককে কুন্ডিতেই খুন করা হয়েছে। এদিনই বেলার দিকে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ‘নিহাঙ্গস’ সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এক যুবককে ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ওই যুবকের একটি হাত কাটা। অঝোর ধারায় রক্ত বেরোচ্ছে। যন্ত্রণায় ছটফট করছে ওই যুবক। তবে ওই যুবকের অপর একটি হাত ও দুই পা তখনো অক্ষত ছিল। ওই ভিডিয়ো সামনে আসার পর পুলিশের অনুমান, নিহাঙ্গস সম্প্রদায়ের লোকেরাই ওই যুবককে খুন করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ গোটা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
সূত্রের খবর, মৃত যুবক শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অসম্মান করেছিল। তার শাস্তি হিসেবে ওই যুবককে এভাবে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিহাঙ্গস হল শিখ সম্প্রদায়ের এক গোষ্ঠী। শিখদের এই সম্প্রদায়টি মূলত যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।