একই পরিবারের তিন ছেলের এমন ভয়াবহ পরিণতি দেখেছিল বাসন্তীর গায়েন পরিবার। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েনের। নিহত হন ওই এলাকারই আরও দুজন বিকাশ হালদার ও সঞ্জয় হালদার।
গায়েন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাসন্তী পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি শোকাহত পরিবার দুটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
রাজ্যপাল সূত্রে খবর, রাজ্যপাল ছমাস তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুহাজার টাকা করে দেবেন। এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এর পাশাপাশি পারলৌকিক কাজের জন্য সমস্ত খরচ বহন করবে রাজভবন।
শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, একই সঙ্গে সিভি আনন্দ বোস এদিন ফল জামাকাপড় সঙ্গে করে নিয়ে আসেন শোকাহত পরিবারদের দেওয়ার জন্য। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা,নদী বাঁধার সমস্যা সবটাই একমনে শোনেন রাজ্যপাল। বিডিওকে ডেকে রাজ্যপাল সমস্ত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন উঠেছিলেন ট্রেনে। ধান চাষের শ্রমিক হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজের জন্য যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় প্রাণ।