বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া রুট অনুসরণ করেই মিছিল করবেন সরকারি কর্মচারিরা (Government employees)। কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শহিদ মিনারের পাদদেশে ধর্না দিয়েছেন সরকারি কর্মচারিরা। দাবি বকেয়া ৩৬ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে সরকারি কর্মচারিদের। বারবার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েও ফল মেলেনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে ফের বার্তা দিতে রাজপথে বিরাট মিছিলের ডাক দেয়। প্রথমে মিছিলের অনুমতি না মিললেও পরে হাইকোর্টের তরফে মিছিলের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, যে রুটে মিছিলের অনুমতি চেয়েছিলেন সেই রুটে হবে না। রুট বদলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশানুযায়ী, দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে মিছিল করতে হবে। হাওড়া ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, ডিএম সলপ, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিলটি।
রাজ্যের তরফে বলা হয়, যে রুটে মিছিল করার কথা ছিল সেটা জনবহুল এলাকা, মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অন্য রুটে মিছিল করলে অসুবিধা নেই।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যে বিধিনিষেধের কথা এখানে বলা হচ্ছে, সেটা শাসক দলের মিছিলের ক্ষেত্রেও হবে তো! বিচারপতির প্রশ্ন, “রেড রোড বন্ধ করে যখন কর্মসূচি হয় তখন অসুবিধা হয় না? আবার কিছু দল যখন মিছিলও করে তখন গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি শাসক দলের কথা বলছি না। তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?” রাজ্যের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেও একাধিক শর্ত দিয়ে মিছিলের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।