Jadavpur University: স্বপ্নদীপের মৃত্যুর রাতেই হস্টেলে জেনারেল বডির বৈঠক, নজরে এবার ফেসটুর দুই নেতাও

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ে চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই প্রাক্তনী সহ তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মাঝেই উঠে…

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ে চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই প্রাক্তনী সহ তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মাঝেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে যে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন যে বুধবার রাতে যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনার পর মেন হস্টলে একাধিক জেনারল বডি বৈঠক হয়েছিল।

সেই জেনারল বডি বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ ও বাকি দুই অভিযুক্তও উপস্থিত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। হস্টেলের গেট বন্ধ রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল জেনারল বডির বৈঠকে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয়টি জানতে পারলেও পুলিশকর্মীরা হস্টেলে ঢুকতে পারেননি। এই নিয়ে যাদবপুর থানায় আলাদা একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে এই জেনারল বডি বৈঠকে গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্টভাবে কে বা কারা হস্টেলের গেট বন্ধ করেছিল? জেনারেল বডির বৈঠকে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী অফিসাররা উত্তর খুঁজছেন যে এত রাতে কেন জেনারেল বডির মিটিং? কীসের এমন জরুরি দরকার? পাশাপাশি যাদবপুরের হস্টেলের গেট বন্ধ রাখার বিষয়টি হস্টেল সুপার জানতেন কি না, সেই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।

এছাড়াও যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির নজরে দুই ফেটসু নেতা। গৌরব দাস ও অরিত্র মজুমদার। হস্টেলে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বলেই জানা যাচ্ছে। এমনটা হস্টেল সুপার স্বীকারও করেছেন। এরমধ্যেই ইউনিয়ন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গৌরব। তবে খোঁজ নেই অরিত্রর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই দুই পড়ুয়া বলে জানা যাচ্ছে।