রাত পোহালেই বাগদেবীর আরাধনায় (Saraswati Puja) মাতবে বাঙালি৷ চার দিকে চলছে তারই প্রস্তুতি। অথচ, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন অংশটুকু এখন জেলে কাটাচ্ছে। গত ২৩ জুলাই মন্ত্রী থেকে শুরু হয়েছিল৷ সেটার পূর্ব পাঠের পুনরায় আলোচনা করতে গিয়ে দেখা গেল অধিকাংশটাই এখনও জেলে। আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই লাইন আরও বাড়তে পারে৷
২৩ জুলাইয়ের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। দুর্গাপূজা বিশেষ সম্মান কুড়িয়ে আনন্দে আত্মহারা বাঙালি আগ্রহ দেখিয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। কিন্তু তাঁর পুজো মণ্ডপকেই ব্রাত্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, বিগত দিনে সেখানেই অর্পিতার সুনাম করেছিলেন তিনি। আর সেটাই তখন বিজেপির চর্চার লাইমলাইটে৷ অথচ বিরোধীদের কথায়, দুর্গাপুজোতে জেলের ভিতরেই বহাল তবিয়তে দিন কাটিয়েছেন পার্থরা। এখন বাণীবন্দনায় তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা?
আরও একবার তালিকা স্পষ্ট করলে দেখা যাবে সেই তালিকায় রয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহারাও। জেলে দিন কাটছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। সম্প্রতি মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ান থেকেই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধুমাত্র শিক্ষা দফতরে নিয়োগের জন্য নয়, বেসরকারি বিএড কলেজে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হত। টাকা নেওয়া হত শিক্ষকদের বদলি পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরের বিরাট গাফিলতির কারণেই সরকারের বন্দনায় দিন জপছেন চাকরি প্রার্থীরা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের ধর্নায় কোনও ইষ্টদেবের নাম জপার থেকে কম কিছু নয়। বারবার সরকারের কাছে নিয়োগ নিয়ে দাবি তুলছেন তাঁরা। কিন্তু দুর্নীতির বরফ গলিয়ে সুদিন সূর্য দেখা আর পাচ্ছেন না। বারবার যৌথ মঞ্চের সম্মেলন করে জানান দিয়েও লাভ হয়নি। বরং টেনিস বলের মতো সরকার এবং কমিশনের দোরগোড়ায় কড়া নাড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাগদেবীর আরাধনা করে এবছরেই প্রদীপের দূতকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁরাও।