প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। প্রবল শ্বাসকষ্ট ফুসফুসে সংক্রমণ সহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তবে…

praised and condemned at the same time Buddhadev Bhattacharya will always be remembered in the politics of Bengal , একই সঙ্গে নন্দিত-নিন্দিত, ব্যতিক্রমী হিসাবেই বুদ্ধদেব চিরস্মরণীয় বঙ্গ রাজনীতিতে

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। প্রবল শ্বাসকষ্ট ফুসফুসে সংক্রমণ সহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকাল ৮:২০ নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন তিনি। 

২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। এরপর ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেববাবুর সন্তান সুচেতনা  সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, সকালেও বুদ্ধদেববাবু প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন বলে খবর।

   

সূত্রের খবর,  মাঝে কিছুটা সময়ে তিনি স্থিতিশীল ছিলেন। তবে গতকাল বুধবার রাত থেকে জ্বরটা বাড়তে থাকে বুদ্ধদেববাবুর। এরপর আজ বৃহস্পতিবার আচমকা সকাল থেকে বুদ্ধদেববাবুর জ্বরটা বেড়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। 

ইতিমধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছেন মহম্মদ সেলিম থেকে শুরু করে অন্যান্য বাম নেতারা। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন। বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নিজেও খুব লড়াই করছিলেন।’

১৯৪৪ সালের ১ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্সি থেকে বাংলা নিয়ে স্নাতক পাশ করেন। শুধু তাই নয়, স্কুল জীবনে এনসিসির ক্যাডারও ছিলেন। কলেজ জীবনেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপর ১৯৮৫ সালে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৯ সালে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নেন।