বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্করের বাসভবন হেরিটেজ মর্যাদা দেবে KMC

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের বাসভবনকে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়া হবে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের (KMC) কাউন্সিলর সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেছেন,

siddharth-shankar-ray

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের বাসভবনকে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়া হবে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের (KMC) কাউন্সিলর সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেছেন, হাজরা এলাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা ১৯০০ সালে লাল ইটের তৈরি এবং এটি একটি দ্বিতল ভবন। পৌর কর্পোরেশন বিশ্বাস করে যে হেরিটেজ মর্যাদা সহ বাড়িটি সংরক্ষণ করা সহজ কাজ হবে না, কারণ বাড়িটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। বর্তমানে বাড়িটি হোমস্টে হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ফলে কর্পোরেশনের এই সিদ্ধান্ত সিদ্ধার্থ শঙ্কর রাইয়ের উত্তরসূরিরা মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের বাড়িটির অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণে কলকাতা কর্পোরেশন এই বাড়িটিকে হেরিটেজ টাইটেল দিয়ে সংরক্ষণ করতে চায়। এ ব্যাপারে পৌরসভা কার্যক্রম শুরু করেছে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পাবে হেরিটেজ মর্যাদা
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের মেয়র কাউন্সিলর সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেছেন যে কোনও মূল্যে ভবনটির ঐতিহাসিক মূল্য রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই বাড়িটি ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি রাখে। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের নাতি অয়ন রায় বলেন, ‘পুরসভার পক্ষ থেকে এখনও কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন নোটিশ দিলে আমি তার জবাব দেব। অনুগ্রহ করে জানান যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

তার ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯০০ সালে এই বাড়িটি তাঁর বাবা এবং বিখ্যাত ব্যারিস্টার সুধীর কুমার রায় তৈরি করেছিলেন। এই বাড়িতে একটি অফিস ও লাইব্রেরি আছে। মহাত্মা গান্ধী থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, পণ্ডিত রবিশঙ্কর এই বাড়িতে গিয়েছিলেন। এই দোতলা বাড়িটি লাল রঙের, তাই অনেকেই একে ‘লালবাড়ি’ নামে চেনেন।

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের আধিকারিকরা বাসভবন পরিদর্শন করেছেন
পৌরসভার ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। তারা এর স্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে। কর্মকর্তারা বাড়ির বর্তমান মালিকদের একজনের সাথেও কথা বলেছেন। পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, ভবনটির স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক মূল্যের ভিত্তিতে ঐতিহ্যের মর্যাদা পাওয়া উচিত। উল্লেখ্য, হাজরা রোডে ১৮টি প্লটের এই বাড়িটি রয়েছে।

পরিবারটি এখন হোমস্টে হিসেবে বাড়িটি ভাড়া নেয়। এর দুটি কক্ষে ৬ জন বসতে পারবেন। হোম লাইব্রেরিতে বিভিন্ন আইনের বই এবং উপন্যাস রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বই অনেক পুরনো। ইন্দিরা গান্ধী, মুজিবুর রহমান, বিল ক্লিনটন ও দালাই লামার অটোগ্রাফও রয়েছে ওই বাড়ির অফিসে।