গতকালের বিদ্ধংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে গোটা বস্তি এর মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে নারকেলডাঙার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৫০ টি বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রাণহানি ঘটেছে একজনের এমত পরিস্থিতিতেই খোদ মেয়রের উপস্থিতিতে উঠলো চোর স্লোগান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম আর তারই উপস্থিতিতে কাউন্সিলার বিরোধী গোষ্ঠী “চোর” স্লোগান দিতে থাকে।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে হাতাহাতি শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যেই এলাকা ছাড়েন মেয়র। অগ্নিকাণ্ডের পর পরিস্থিতি এমনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, রাজনৈতিক বিবাদও শুরু হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর বিরোধী গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, যে প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতা তাঁদের যথাযথ সাহায্য এবং সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি, কাউন্সিলরের বিরোধী গোষ্ঠী, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে “চোর” স্লোগান দিতে শুরু করে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। কিন্তু, স্লোগান এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে, স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকা বিরোধী গোষ্ঠী এবং সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এই সংঘর্ষে মেয়রকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় কিছুই বাদ যায়নি আগুনের কবল থেকে। তার উপরে এই রাজনৈতিক কোন্দল পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে । অনেক বাসিন্দা মনে করেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি সঠিক সময় সতর্কতা এবং সাহায্য পৌঁছানো হতো, তাহলে হয়তো এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা যেত । দমকলের ভূমিকা নিয়ে এমনিই প্রশ্ন তুলেছেন বস্তির ক্ষতিগ্রস্থরা, আবার এই দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী কোন্দল তাদের ভবিষ্যৎ কে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করে সেটাই দেখার।