দিল্লি থেকে এসে তোলাবাজি! কলকাতা পুলিশের জালে মহম্মদ সলমন

রাঁচির উত্তর বন্দর থানায় ঘটে যাওয়া একটি তোলাবাজির ঘটনায় পুলিশ (kolkata police) বিশেষ অভিযান চালিয়ে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ সলমন, যিনি দিল্লির…

bus accident near jadavpur 8b bus stand

রাঁচির উত্তর বন্দর থানায় ঘটে যাওয়া একটি তোলাবাজির ঘটনায় পুলিশ (kolkata police) বিশেষ অভিযান চালিয়ে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ সলমন, যিনি দিল্লির বাসিন্দা। গত কয়েকদিন ধরে রাঁচি শহরের বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে আনন্দপুর থানার ভাড়া বাসা থেকে তোলাবাজির অভিযোগ (kolkata police)উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সলমন বাবুঘাট এলাকায় তোলা আদায়ের কাজে (kolkata police) জড়িত ছিল এবং সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে।

   

এই ঘটনায় পুলিশ (kolkata police)প্রথমে অভিযোগ জমা হওয়ার পর সলমনের খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে। ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন উত্তর বন্দর থানায় তোলা আদায়ের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করা হয়। ওই দুই যুবক রাঁচির বাসিন্দা ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা সলমনের নির্দেশে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এবং পথচলতি (kolkata police)মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল। এমন পরিস্থিতিতে, পুলিশের কাছে সলমনের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

পুলিশ সলমনের অবস্থান জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে তারা জানতে পারে, সলমনের রেড লাইট এলাকায় যাতায়াত রয়েছে এবং সেখানে তার যোগাযোগের কিছু সূত্র মেলে। সেখান থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এক যুবতীর কাছ থেকে সলমনের ফোন নম্বর উদ্ধার করা হয়। ফোন নম্বরটি পাওয়ার পর, পুলিশের জন্য এটি ছিল একটি বড় সাফল্য, কারণ নম্বরটির টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।

টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, সলমন আনন্দপুর এলাকায় অবস্থান করছে। এরপর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে সলমনকে গ্রেফতার করে। তবে সলমনের গ্রেফতারের সময় একটি নাটকীয় মোড় নেয়। পুলিশ যখন সলমনের কাছে পৌঁছায়, তখন সলমন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে ধরার সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তাকে আটক করতে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।
মহম্মদ সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাঁচির বিভিন্ন এলাকায় তোলা আদায় করে আসছিলেন।

বিশেষ করে, বাবুঘাট ও আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীদের তিনি হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করতেন। এছাড়াও, সলমন যে এলাকা থেকে কাজ করত, সেই অঞ্চলের মানুষও তার হাত থেকে নিস্তার পেত না। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের কাছ থেকে সলমন অবৈধভাবে টাকা আদায় করত, এবং যারা বাধা দিত, তাদের ওপর হুমকি বা শারীরিক আক্রমণ করত।

এছাড়া, সলমনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি রেড লাইট এলাকার একাধিক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন এবং তাদের ব্যবহার করেও তোলাবাজির কাজে সহায়তা করাতেন। পুলিশ তার কাছ থেকে বেশ কিছু প্রমাণও সংগ্রহ করেছে, যা তার অপরাধের সাথে সম্পর্কিত। সলমনের এই কার্যকলাপ একটি বড় চক্রের অংশ হতে পারে, যা অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশের সাফল্য হল, তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সলমনের অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে গ্রেফতার করেছে। সলমনের পালানোর চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে, একটি বড় অপরাধী চক্রকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সলমনের গ্রেফতার করার পর তার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা এই অপরাধী চক্রের আরও সদস্যদের চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে।

এছাড়া, পুলিশ রাঁচির বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও তোলাবাজদের খোঁজে অভিযান চালাবে। রাঁচির সাধারণ মানুষকে এই ধরনের তোলাবাজির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তোলাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান আরও তীব্র হবে, যাতে সাধারণ মানুষ এসব অপরাধী চক্রের কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ সলমনের গ্রেফতারের পর, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে তারা আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের খোঁজ পেতে সক্ষম হবে। রাঁচির বিভিন্ন এলাকা থেকে তোলাবাজির অভিযোগ বাড়ছে, তাই পুলিশের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। পুলিশের এই উদ্যোগ শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।