Election Commission: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় নির্বাচন কমিশনার

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার বিকালে রাজ্যে এলেন নির্বাচন কমিশনার। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হতে পারে লোকসভা ভোট (Loksabha Vote…

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার বিকালে রাজ্যে এলেন নির্বাচন কমিশনার। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হতে পারে লোকসভা ভোট (Loksabha Vote 2024)। যদিও এখনও অবধি কোনও রকম চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলাকে অতি স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার বিকালে রাজ্যে এল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ১৩ জন আধিকারিককে নিয়ে টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। উল্লেখ্য, আজ সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়া রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার সকালে দফায় দফায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করার কথাও রয়েছে এই টিমের। এরপর সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গেও বৈঠক হবে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এরপর বৈঠক হবে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের DG-র সঙ্গে।

নিৰ্বাচন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১ কোম্পানি আধা সেনা জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। চলছে রুট মার্চ। সেই মতো আজ রবিবার সকাল থেকেই বনগাঁয় (Bangaon) শুরু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। সন্দেশখালিকান্ডের আবহে উত্তর ২৪ পরগণা জেলাকে অতি স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই সেখানে সব থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার পাশাপাশি শহরেও চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার কলকাতাতে বিএসএফের ৭ কোম্পানি এসেছে।

গত বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা-অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ভোট-হিংসায় ঝরেছে বহু প্রাণ। প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী লোকসভা ভোটকে শান্তিপূর্ণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন সকলেই। ফলে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের আসা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।