নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপে ‘কোরান শরিফ রেখে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে’, এই অভিযোগ ঘিরে শুক্রবারও কিছু উগ্র বার্তায় ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত বাংলাদেশে (Bangladesh)। হামলাকারীদের রুখতে পুলিশের গুলি চালাল ফের। বিবিসি জানাচ্ছে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র। সরকার দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দেবে। জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কোনও অবস্থায় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: Bangladesh: দুর্গামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পাবেই জানালেন শেখ হাসিনা
বিবিসি জানাচ্ছে, শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় এবং নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীতে পুলিশের সাথে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে একাধিক দোকানও বাড়িঘরে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকায় মিছিলকারীরা রাস্তায় নামলে পুলিশ বাধা দেয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও শটগান থেকে গুলি ছুঁড়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চট্টগ্রামে কয়েকটি মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন চট্টগ্রামে কয়েকটি মণ্ডপ এলাকায় আক্রমণ করা হয়। প্রতিবাদে তারা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রেখেছেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, বুধবার কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ পাওয়ার পর ওই ঘটনার জের ধরে কুমিল্লা, চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যু হয়।