মাত্র দু বছর চলল তার পরেই বন্ধ। আর না বলে দুর্গাপূজা (Durga Puja) বন্ধ করে দিল বঙ্গ (BJP) বিজেপি। চলতি বছর দুর্গাপূজা নিয়ে বড় আশা করেছিলেন দলীয় নেতারা। ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে প্রচার করা হয়, কলকাতার ইজেডসিসি (EZCC) কমপ্লেক্সের পুজো উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। থাকবেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তবে দুজনের কেউ আসেননি। দিল্লিতে বারবার হত্যে দিলেও চিঁড়ে ভেজেনি। কোনওরকমে পুজো উদ্বোধন করেন রাজ্য সভাপতি সুকাম্ত মজুমদার।
বু়ধবার রাজ্য জুড়ে বিসর্জন সুর। এবারের মতো দুর্গা বিদায় জানানো চলছে। বিজয়া দশমীর দিনেই বঙ্গ বিজেপি জানাল, আর নয় পুজো। এবারেই শেষ। বন্ধ করে দেওয়া হলো পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দুর্গাপূজা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দুর্গাপূজা ছিল অন্যতম রাজনৈতিক টার্গেট। ভোটের আগের বছর ২০২০ সালে সল্টলেকের EZCC কমপ্লেক্সে বিজেপি শুরু করেছিল দুর্গাপূজা। এসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রী়য় নেতারা। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি জানান, দলের তরফে আর হবেনা পুজো।
সুকান্ত মজুমদার আগেই বলেছেন, পুজো করার জন্য খরচ বাবদ ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা বহন করার ক্ষমতা দলের নেই। তাই তিন বছরের মধ্যে পুজো বন্ধ করতে হচ্ছে।
সুকাম্ত মজুমদারের ঘোষণা মতো এবারের বিজয়া দশমীতেই বঙ্গ বিজেপি দুর্গাপূজা বন্ধ করে দিল। রাজনৈতিক মহলে চলছে কটাক্ষ সবই ভোটের লক্ষ্যে করা হয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ,বিজেপির পুজো না করার সিদ্ধান্ত খুবই স্বাভাবিক। চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।
তবে বিজেপি নেতারা বলছেন, দলীয় পুজো বন্ধ হলেও আন্দোলন জারি থাকবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে আসছে, বিধানসভা ভোট পরবর্তীতে যত উপনির্বাচন ও পুরভোট হয়েছে তাতে বিজেপির ভোট কমেছে হুড়হুড়িয়ে। রাজ্যে বাম শিবির তথা সিপিআইএমের ভোট বেড়েছে। বিজেপি নেমেছে তিন নম্বরে।