নতুন করে নিম্নচাপের চোখ রাঙানি, মাসের শুরুতেই ৮ জেলায় প্রবল বর্ষণের ভ্রূকুটি

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’-র আতঙ্কে কাঁপছেন হাজার হাজার মানুষ। যে কোনও মুহূর্তে এটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমডি। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে…

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’-র আতঙ্কে কাঁপছেন হাজার হাজার মানুষ। যে কোনও মুহূর্তে এটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমডি। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরও এক নিম্নচাপের ভ্রূকুটি শোনালো আলিপুর আবহাওয়া অফিস। বলা হচ্ছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর এটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে নতুন করে যে বাংলায় দুর্যোগের আশঙ্কা থাকবে সেটা বলাই চলে। আলিপুর যে বুলেটিন জারি করেছে সেটা অনুযায়ী, আজ রবিবার ১ সেপ্টেম্বর বাংলার বহু জেলায় বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে।

এমনিতে আজ সকাল থেকেই চড়া রোদ উঠতে দেখা গিয়েছে। সেইসঙ্গে গরমও যেন বিগত কয়েকদিন ধরে নিজের আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে। বৃষ্টিও যে হচ্ছে তেমনটা কিন্তু নয়। আপাতত হয় খানিক ব্রেক লাগলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের একবার বৃষ্টি ধেয়ে আসবে বাংলার দিকে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ যেমন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ মিলিছে মোট ৮ জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।

   

বুলেটিন অনুসারে, আজ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা যেমন কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা,পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে এদিন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টির আজ তেমন পূর্বাভাস নেই।

উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জদিও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে বলে জানইয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল, শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের আজ ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।